ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স এর মধ্যে পার্থক্য কি

ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস ইলেকট্রিক্যাল কারেন্টকে  অন্য ফর্মে পরিবর্তন করে যেমন তাপ শক্তি, আলোক শক্তি ইত্যাদি।  ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বিভিন্ন অপারেশনের  জন্য ইলেকট্রনের চলাফলা বা গতিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।  ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসে ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহিত  হবার জন্য তামা বা অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয় যেখানে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে সেমিকন্ডাক্টর  ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস প্রধানত অল্টারনেটিং কারেন্টে কাজ করে থাকে , ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ডিসি ভোল্টেজ এ  কাজ করে থাকে। ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস উচ্চ ভোল্টে  যে কাজ করে থাকে যেখানে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস লো ভোল্টেজে কাজ করে  থাকে। ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসের কন্ট্রাক্টিভিটি  ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের চেয়ে অনেক বেশি। 

ইলেক্ট্রিক্যাল

ইলেক্ট্রিক্যাল বিদ্যুৎ পরিবাহী, অপরিবাহি ও চুম্বকত্ব নিয়ে কাজ করে , আর ইলেক্ট্রনিকস অর্ধ পরিবাহি নিয়ে কাজ করে। ইলেক্ট্রিক্যাল যা, কারেন্ট প্রবাহের উত্স এবং সাপ্লাই নিয়ে আলোচনা করে। পরিবাহীর ইলেকট্রনের প্রবাহ এবং পরিবাহী দ্বারা তৈরী বস্তু যেমন মোটর, জেনারেটর, ট্রান্সফর্মার, সুইচগিয়ার, ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টর, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদি  নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ইলেকট্রনিক্স

ইলেকট্রনিক্স  তড়িৎ প্রকৌশলের প্রধান শাখাগুলির  একটি, যা পরিবাহী ও অর্ধপরিবাহী থেকে ইলেকট্রনের নিঃসরণ, এ ইলেকট্রনগুলির পরবর্তী সুবিধাজনক ব্যবহার এবং ইলেকট্রনিক যমত্র নির্মাণ নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করে। প্রথম ইলেকট্রনিক যন্ত্র ছিল  থার্মোনিক ভাল্ভ বা ভ্যাকুয়্যাম টিউব, যার  ভিতরের শূন্যস্থানে ইলেকট্রনগুলি ছুটোছুটি করে এবং এটি বেতার, টেলিভিশন, রাডার ও ডিজিটাল কম্পিউটারের মতো উদ্ভাবনগুলির প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৪৮ এর দিকে  ট্রানজিস্টারের উদ্ভাবন এবং পরবর্তী সময়ে ইনটিগ্রেটেড সার্কিট এর বিকাশ ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে  এবং এগুলি সবই পূর্বের ইলেকট্রন টিউব প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি  হয়েছিল। আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিগুলি সব সূক্ষ্ম সিলিকন চিপ এর ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। সিলিকন চিপ এক প্রকার অতি পাতলা  বিস্কুটের মতো ক্রিস্টালের ফালি স্লাইস যা অন্তত ১০ হাজার ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট ধারণ করে। এ ধরনের উন্নয়ন ইলেকট্রনিক সার্কিটকে অধিক ঘনত্বসম্পন্ন  বিন্যাসে  সাজাতে সাহায্য করেছে এবং যন্ত্রের আকার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর করতে সহায়তা করেছে। এর ফলে  সম্ভব হয়েছে ঘনবিন্যস্ত ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার, উন্নত রাডার ও দিক বা অবস্থান নির্ণয়  ব্যবস্থা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরি যেগুলিতে বিপুল সংখ্যক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে হয়। সিলিকন চিপের উন্নয়নের জন্যই  ভোক্তারা পেয়েছে আরও ছোট কিন্তু অধিকতর নির্ভরযোগ্য বেতার ও টেলিভিশন, উন্নত শব্দ ও ভিডিও রেকর্ডিং এবং পুনরুৎপাদন ব্যবস্থা, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, সেলুলার টেলিফোন এবং শক্তিশালী অথচ কম খরচের পিসির মতো উন্নণত প্রযুক্তির  ইলেকট্রনিক সামগ্রী গুলি।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url