জাতীয় সংসদের সভাপতি কে

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে জাতীয় সংসদের সভাপতি কে এবং জাতীয় সংসদের সভাপতি এর সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি জাতীয় সংসদের সভাপতি কে এটা জানতে চান তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য যার মাধ্যমে আপনি জাতীয় সংসদের সভাপতি কে এটা জানতে পারবেন চলুন জেনে নেয়া যাক। 

জাতীয় সংসদের সভাপতি কে

জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা হচ্ছে জাতীয় সংসদ। এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০ যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সভাপতি হচ্ছেন মাননীয় স্পিকার। তিনি জাতীয় সংসদের সভাপতি হিসেবে নিরপেক্ষতার প্রতীক।

বর্তমান জাতীয় সংসদের স্পিকার বা সভাপতি হলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র নারী স্পিকার। শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন ৪৬ বছর বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ঠ স্পিকাররূপে সাবেক স্পিকার ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

জাতীয় সংসদের নেতা কে

জাতীয় সংসদের নেতারা বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করেন, যেমন আইন প্রণোদন, বাজেট প্রণোদন, রাষ্ট্রীয় নীতি গঠন, এবং জনগণের প্রতি নেতৃত্ব প্রদান। ইত্যাদি। জাতীয় সংসদের নেতাদের সাধারণত প্রায়ই পার্টির সাথে জড়িত থাকে। তাদের রোল এবং প্রভাব প্রায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক নীতিসমূহে অব্যাহতি রেখে। তবে, তাদের ব্যক্তিগত ধর্মকার্য, সামাজিক কর্তৃত্ব, ও পরিসংখ্যানগত অবদান ভিন্নভাবে বিভক্ত হতে পারে। প্রায় সকল দেশের জাতীয় সংসদে থাকেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নেতা হলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদের উপনেতা কে

জাতীয় সংসদের উপনেতা সম্পর্কে সাধারণত সার্বিক নির্দিষ্ট একটি পদবী নেই। বিভিন্ন দেশের পরিষদে বিভিন্ন ধরনের পদবী এবং অবস্থানের নেতারা থাকে। কিছু দেশে জাতীয় সংসদের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বা স্পিকার বা পর্যায়ের সভাপতি উল্লেখ করা হতে পারে। অন্য দেশে উপনেতার অবস্থান বা পদবী আরও বিশেষ হতে পারে। এটি দেশের নীতি ও শাসন ব্যবস্থার অনুযায়ী পরিবর্তন করে এবং প্রতিটি দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তাই নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ডার্ড উপনেতার পদবীর সাথে সংযুক্ত করা সম্ভব নয়। সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হোন সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে, সংসদ উপনেতার পদ মর্যাদা একজন পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদার সমান। বাংলাদেশের বর্তমান সংসদ উপনেতা হলেন মতিয়া চৌধুরী। সৈয়দ নজরুল ইসলাম তিনি ৭ এপ্রিল ১৯৭৩সাল থেকে ৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উপনেতা ছিলেন 

জাতীয় সংসদের অভিভাবক কে

জাতীয় সংসদের অভিভাবক পদবী সাধারণত বিশেষ কোনো নির্দিষ্ট পদবীর সাথে সংযুক্ত করা হয় না। বিভিন্ন দেশের সংসদে অভিভাবকের নামাংকন এবং তাদের কর্তব্যের স্বরূপ বিভিন্ন হতে পারে। কিছু দেশে সংসদে অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপাধি বা পদাধিকারী সরকারী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তাদের কর্তব্য হতে পারে সংসদের কর্মত অংশগ্রহণ, সংসদের সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান ইত্যাদি। আপনি যে দেশের জন্য অভিভাবক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন তা উল্লেখ করলে, আমি সে দেশের সংবিধান এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার অনুযায়ী বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে পারব। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে স্পিকারকেই জাতীয় সংসদের অভিভাবক হিসাবে মানা হয়।

জাতীয় সংসদের প্রথম স্পিকার কে

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম স্পিকার ছিলেন শাহ আব্দুল হামিদ তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ছিলেন। শাহ হামিদ ১৯০০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের রংপুর জেলার (বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা) গোবিন্দগঞ্জের খলসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী আব্দুল গাফফার শাহ এবং মাতা রহিমা খাতুন। 

শাহ আবদুল হামিদ ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে গোবিন্দগঞ্জ-পলাশবাড়ী আসন থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। 

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কে

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের নাম শামসুল হক টুকু এর আগে বাংলাদেশের  জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া ।২০২১ সালে ফজলে রাব্বী মিয়ার পেটে টিউমার অপারেশন হয়। তবে ২০২২ সালের ২২ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলে রাব্বী মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ২০২২ সালের ২৮ আগষ্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বে আছেন শামসুল হক টুকু।

শামসুল হক টুকু পাবনা ১ আসন থেকে ২০০৯ ও ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। শামসুল হক টুকুর পৈতৃক বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা গ্রামে। তিনি ব্যবসায় বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শামসুল হক টুকু পেশায় একজন আইনজীবী তিনি একসময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাতীয় সংসদের প্রথম নারী হুইপ কে

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম নারী হুইপ হতেন খালেদা খানম, তিনি বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। খালেদা খানম স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতি শুরু করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ এছাড়া প্রচার সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন৷  পরবর্তীতে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সহ- সভানেত্রী ছিলেন। খালেদা খানম সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসন ২১ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হোন।

জাতীয় সংসদের প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা

জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকেন কে



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url