যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এর মধ্যে পার্থক্য কি
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এর মধ্যে পার্থক্য কি।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এর মধ্যে পার্থক্য কি
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য আলাদা দুটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র অর্থাৎ দেশটি গুলো অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত , যাতে আলাদা স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। অপরদিকে ইউনাইটেড কিংডম বা যুক্তরাজ্য হচ্ছে ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড অঞ্চল নিয়ে অনেকগুলো দ্বীপের সমষ্টি।
দেশটির অবস্থান ইউরোপ মহাদেশে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক প্রজাতন্ত্র দেশ এবং যুক্তরাজ্যে রয়েছে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এর পাশাপাশি সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। যুক্তরাজ্য মূলত মন্ত্রিসভা বা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রধান নেতা অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট শাসিত দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চাশে রাজ্য রয়েছে।কিন্তু যুক্তরাজ্য হচ্ছে চারটি পৃথক রাষ্ট্রের সমষ্টি।
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য ইউনাইটেড্ কিংডম্ ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ডের উত্তর পশ্চিম উপকূলের সন্নিকটে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রটির সরকারি নাম গ্রেইট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের যুক্তরাজ্য এবং ব্রিটেন নামেও পরিচিত। এই রাষ্ট্রটির চারটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র ইংল্যান্ড , স্কটল্যান্ড , ওয়েল্স্ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য অধিকৃত আয়ারল্যান্ড এর সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাজ্য অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোকে একত্রে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এদের মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপটির নাম বৃহৎ ব্রিটেন বা গ্রেট ব্রিটেন। গ্রেট ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল ভাগটির নাম ইংল্যান্ড , যা দ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশ গঠন করেছে।
পশ্চিম অংশে আছে ওয়েলস এবং উত্তরে স্কটল্যান্ড । আয়ারল্যান্ড দ্বীপের উত্তর পূর্ব প্রান্তে উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য অধিকৃত আয়ারল্যান্ড অবস্থিত। আয়ারল্যান্ড দ্বীপ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের ২য় বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপের সিংহভাগ জুড়ে অবস্থিত আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের সাথে যুক্তরাজ্যের একমাত্র স্থল সীমান্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাকী অংশকে আটলান্টিক মহাসাগর , উত্তর সাগর , ইংলিশ চ্যানেল এবং আইরিশ সাগর ঘিরে রেখেছে। গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটি চ্যানেল টানেলের মাধ্যমে ফ্রান্সের সাথে যুক্ত। এছাড়াও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকালীন সময়ে হস্তগত ১৪টি বহিঃস্থ এলাকা এখনও যুক্তরাজ্যের অধীনে রয়েছে।
ব্রিটেন একটি সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। তৃতীয় চার্লস রাষ্ট্রপ্রধান। এখানে একটি সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা বিদ্যমান। লন্ডন শহর যুক্তরাজ্যের রাজধানী এটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত
যুক্তরাষ্ট্র
ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত পঞ্চাশটি অঙ্গরাজ্য , একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা ও পাঁচটি টেরিটোরি এবং কিছু মাইনর আউটলেয়িং দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। এই দেশটি আমেরিকা নামেও পরিচিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত আটচল্লিশটি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি অঞ্চলসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডটি পশ্চিমে প্রশান্ত ও পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরদ্বয়ের মধ্যস্থলে অবস্থিত এই অঞ্চলের উত্তরে কানাডা ও দক্ষিণে মেক্সিকো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর পশ্চিম কোণে অবস্থিত আলাস্কার পূর্ব সীমান্তে কানাডা ও পশ্চিমে বেরিং প্রণালী পেরিয়ে রাশিয়া অবস্থিত। হাওয়াই অঙ্গরাজ্যটি মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়াও ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে পাঁচটি টেরিটরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন প্রায় ৯৮.৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার ৩৭.৯ লক্ষ বর্গমাইল। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি ৮২ লক্ষ সামগ্রিক আয়তনের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় অথবা চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। আবার স্থলভূমির আয়তন ও জনসংখ্যার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৈচিত্র্যমণ্ডিত বহুজাতিক সমাজব্যবস্থা। বহু দেশ থেকে বিভিন্ন জাতির মানুষের অভিবাসনের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি বহুসংস্কৃতিবাদী দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় অর্থনীতি।