ই মেইল ও এসএমএস এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে ই মেইল ও এসএমএস এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ই মেইল ও এসএমএস এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন ই মেইল ও এসএমএস এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক ই মেইল ও এসএমএস এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

ই মেইল ও এসএমএস এর মধ্যে পার্থক্য কি

এসএমএস হল সংক্ষিপ্ত বার্তাপ্রেরণ পরিষেবা, যা একটি পাঠ্য বার্তা নামেও পরিচিত। নতুন প্রচার, একচেটিয়া ডিসকাউন্ট, অ্যাপয়েন্টমেন্ট রিমাইন্ডার এবং সময়-সংবেদনশীল আপডেট সম্পর্কে তাদের মোবাইল ডিভাইসে সরাসরি তাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যবসাগুলি আজ এসএমএস ব্যবহার করে।

দশটির মধ্যে নয়টি টেক্সট মেসেজ প্রাপ্তির প্রথম তিন মিনিটের মধ্যে খোলা হয়, যা ব্র্যান্ডগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ করে তোলে।

যদিও ই মেইল এবং এসএমএস  উভয়ই আপনার গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের  কার্যকর উপায় , সেখানে কিছু বার্তা রয়েছে যা প্রতিটি  চ্যানেলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। ই মেইল দীর্ঘ , সমৃদ্ধ বার্তা পাঠানোর জন্য একটি দুর্দান্ত মাধ্যম যার মধ্যে ছবি এবং সংযুক্তি রয়েছে এবং পরবর্তী তারিখের জন্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

অন্যদিকে , সংক্ষিপ্ত , সময়োপযোগী তথ্য বা ডিসকাউন্টের জন্য এসএমএস হলো নিখুঁত যোগাযোগের মাধ্যম। ই মেইল এবং এসএমএস হলো পরিপূরক চ্যানেল, এবং আপনি যদি সেগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করেন , তাহলে আপনি একটি নির্বিঘ্ন গ্রাহক যোগাযোগের অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারেন।

কখন ই মেইল ব্যবহার করবেন এবং কখন এসএমএস ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে আপনার জ্ঞান পরীক্ষা করতে নীচের আমাদের কুইজটি নিন। তারপর, এসএমএস এবং ই মেইলের সর্বোত্তম অনুশীলন সম্পর্কে আরও অন্তর্দৃষ্টির জন্য পড়া চালিয়ে যান, এবং কীভাবে উভয় চ্যানেলই আপনাকে আপনার গ্রাহকদের চোখে একটি স্থায়ী ছাপ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

ই মেইল

ই মেইল তথা ইলেক্ট্রনিক মেইল হলো ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তদানিন্তন আরপানেটে সর্বপ্রথম  ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করা হয় । ই মেইল পেতে প্রথম দিকের ই মেইল ব্যবস্থায় প্রেরক এবং প্রাপক দুজনকেই অনলাইনে থাকতে হত। এখনকার ই মেইল গুলোতে এই সমস্যা নেই। ই মেইল সার্ভারগুলো মেইল গ্রহণ করে এবং সংরক্ষণ করে পরে পাঠায়। একটি ই মেইল বার্তা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত  বার্তার খাম বা মোড়ক, বার্তার হেডার বা মূল যেটাতে বার্তা কোথায় বা কার কাছ থেকে তথ্য থাকে এবং বার্তা। হেডার মেইল নিয়ন্ত্রণের তথ্য বহন করে , যেটাতে কম করে হলেও প্রেরকের ই মেইল ঠিকানা , এক বা একাধিক প্রাপকের ঠিকানা থাকে। কিন্তু সাধারণত আরো বিস্তারিত তথ্যও থাকে যেমন হেডার বিষয়বস্তুর জন্য একটি ফিল্ড এবং বার্তা প্রেরণের তথ্য , গ্রহণের তথ্য প্রভৃতি।   এটি আরএফসি ২০৪৫ থেকে ২০৪৯ এ পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া। এই আরএফসি কে এমআইএমই বলে যার অর্থ হলো মাল্টিপারপাস ইন্টারনেট মেইল ইক্সটেনশন।  বার্তা পাঠানোর প্রক্রিয়ায় এসএমটিপি তার খাম বা এনভেলপ এ ভিন্ন বার্তা এবং হেডার থেকে ডেলিভারি তথ্য জমা করে রাখে।

এসএমএস

খুদে বার্তা সেবা বা  শর্ট মেসেজ সার্ভিস বা সংক্ষেপে এস এম এস  হলো তথ্য আদান প্রদানের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। সব মোবাইল ফোন কোম্পানি এবং বেসরকারি ল্যান্ডফোন কোম্পানি এই সুবিধা দিয়ে থাকে। এতে মোবাইলের কি প্যাডের মাধ্যমে শব্দ বা বাক্য লিখে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে অন্য কোন মোবাইলে আন্ত অপারেটর বা  আন্ত দেশীয় বার্তা পাঠানো হয়। এটির মাধ্যমে যেকোনো স্থান  থেকে যেকোনো স্থানের প্রাপকের কাছে যেকোনো বার্তা সহজেই মোবাইলে পাঠানো সম্ভব। ভয়েস বা কথা কে রেকর্ড করে তারপর তা এস এম এস সার্ভিস এর  মাধ্যমে  অন্য মোবাইলে পাঠানো হল ভয়েস এস এম এস। ভয়েস এস এম এস  এর সুবিধা হল এর মাধ্যমে তাড়াতাড়ি যেকোনো কথা  অন্য কাউকে রেকর্ড করে পাঠানো যায়। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url