সুখ ও শান্তি এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে সুখ ও শান্তি এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন সুখ ও শান্তি এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন সুখ ও শান্তি এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক সুখ ও শান্তি এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

সুখ ও শান্তি এর মধ্যে পার্থক্য কি

সুখ আসে অধিকভাবে একটি আন্তরিক অবস্থা, যেটি কোনও বাহ্যিক ঘটনা বা সামগ্রিক ধরনের অবস্থা দ্বারা প্রভৃতি পেতে পারে। শান্তি অধিকভাবে মানসিক স্থিতির একটি স্থিতি, যেটি ব্যাক্তির আন্তরিক সান্ত্বন্নতা বা স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। সুখ পরিবার এবং স্বাজনের সঙ্গে আপাতত সময় কাটানো সহজতর। শান্তি একজনের অন্তর্মুখী সময় কাটাতে সাহায্য করতে পারে। সুখ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সম্পর্কিত হতে পারে , আমন্ত্রিত ও প্রেমমূলক সময় কাটানো হতে পারে। শান্তি অন্যান্য মানসিক প্রক্রিয়াগুলির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন ধ্যান ও মেডিটেশন।

সুখ প্রাপ্তির জন্য সম্পর্কিত হতে পারে নৈতিক মূল্য , সফলতা, বা আনন্দমূলক কর্ম। শান্তি অধিকভাবে আত্মপ্রেম , আত্মসম্মান, এবং আন্তরিক সুখের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। সুখ ব্যক্তির সম্পর্কে নির্দিষ্ট হতে পারে, স্বামী , স্ত্রী , বন্ধু, ও অন্যান্য প্রিয়জনের সাথে। শান্তি অন্য মানসিক প্রক্রিয়াগুলির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে , যেমন মনের শান্তি এবং সান্ত্বন্নতা। সুখ ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে আনন্দদায়ক করতে পারে, সেখানে থাকা সুখমূলক কাজ বা ব্যবসা, বা নৈতিক মূল্য অনুসরণ করতে পারে। শান্তি মেডিটেশন , যোগাযোগ করা, বা আত্ম পরিষ্করণ সাধনায় সম্পর্কিত হতে পারে।

সুখ

সুখ একটি মানবিক অনুভূতি। সুখ মনের একটি অবস্থা বা অনুভূতি যা ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জৈবিক, মানসিক, মনস্তাত্ত্বিক, দর্শনভিত্তিক এবং ধর্মীয় দিক থেকে সুখের সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং এর উৎস নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। সঠিকভাবে সুখ পরিমাপ করা অত্যন্ত কঠিন। গবেষকেরা একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন যা দিয়ে সুখের পরিমাপ কিছুটা হলেও পরিমাপ করা সম্ভব। মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা তাত্ত্বিক মডেলের ভিত্তিতে সুখ পরিমাপ করে থাকেন। এই মডেলে সুখকে ইতিবাচক কর্ম ও আবেগসমূহের সমষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া এক্ষেত্রে তিনটি বিশেষ অবস্থাকেও বিবেচনা করা হয়: আনন্দ, অঙ্গীকার এবং অর্থ। সমাজে ধনী,গরিব,সুখী,অসুখী  বিভিন্ন ধাঁচের মানুষের বসবাস।তবে বর্তমানে সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া সোনার পাথর বাটির মতো। সকলেই সুখী হতে পারে না। তবে সুখী হতে পয়সা লাগে না। নিজের ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই সুখী হওয়া সম্ভব। নিজের যতটুকু আছে তন্মধ্যে সন্তুষ্ট থাকলে, আনন্দ খুঁজে পেলে সুখী হওয়া কঠিন কিছু না। সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার।তবে মনে রাখতে হবে, ধনবান ব্যক্তি হলেই সুখী হওয়া যাবে, তা নয়। ছোট কুটিরেই সুখ লাভ করা যায়।

শান্তি

অভ্যন্তরীণ শান্তি বা মানসিক শান্তি বলতে মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে অর্জিত শান্তিকে বুঝায়। অগাধ জ্ঞান এবং নিজেকে জানার মাধ্যমে মতভেদ দূর ও চাপ প্রয়োগের মুখোমুখি হয়ে তা অর্জন করতে হয়। অনেকেই শান্তিতে থাকাকে সুস্থ ও সভ্য মানুষের প্রতিচ্ছবি এবং চাপ ও দুঃশ্চিন্তার বৈপরীত্য হিসেবে মনে করে থাকেন। সচরাচর মানসিক শান্তিকে পরম সুখ ও সুখী জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বলে গণ্য করা হয় । চাপের প্রভাব, বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে মানসিক শান্তি তৈরী হয়। কিছু কিছু সমাজে মানসিক শান্তিকে সচেতনতা অথবা শিক্ষার প্রতীকরূপে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সাধনা, প্রার্থনা, মন্ত্র, তাই চি চুয়ান বা যোগ ব্যায়ামের নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমেই এ শান্তি অর্জন করা সম্ভব। ইসলাম ধর্মে শান্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি ইসলাম ধর্মের অন্যতম মূলনীতি। ইসলাম শব্দটি সালাম ও সিলম শব্দ থেকে এসেছে যেগুলোর অর্থ হল যথাক্রমে শান্তি এবং আত্মসমর্পণ। ব্যাপকার্থে, শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করাকেই ইসলাম ধর্ম হিসেবে সঙ্গায়িত করা হয়। এছাড়া ইসলামকে বোঝাতে রিলিজিয়ন অব পিস অথবা শান্তির ধর্ম শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।



 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url