র‍্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে র‍্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন র‍্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন র‍্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক র‍্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

র‍্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি

রেম এর পূর্ণরূপ হল রেনডম এক্সেস মেমোরি। র‌্যাম কে ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয়  আর রম কে নন ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয়। র‌্যাম হলো প্রাইমারী স্টোরেজ আর রম হলো সেকেন্ডারি স্টোরেজ। র‌্যাম এর তথ্য ডাটার সমষ্টি  কম্পিউটার প্রসেসর সরাসরি এক্সেস করতে পারে তবে রম এর তথ্যডাটার সমষ্টি কম্পিউটার প্রসেসর সরাসরি এক্সেস করতে পারে না। এর জন্য প্রথমে তথ্য ডাটার সমষ্টি  কে র‌্যামএ পাঠাতে, তারপর এক্সিকিউট হয়।র‌্যাম মেমরি ব্যবহৃত হয় টেম্পোরারি স্টোরেজ হিসেবে কিন্তু রম মেমরি ব্যবহৃত হয় পারমানেন্ট স্টোরেজ হিসেবে।

যখন কোন সফটওয়্যার বা ভিডিও প্লে করবেন তখন তা হার্ডডিক্স এ থাকে। এই হার্ডডিস্ক থেকে ভিডিওটি র‌্যাম এ গিয়ে লোড হয়। তারপর সেখান থেকে ভিডিওটি ওপেন হয়। আবার এর মধ্যে যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে হার্ডডিস্ক থেকে ভিডিওটি মুছে যাবে। রেমে কোন ধরনের ডাটা থাকবে না। তাই বলা যায় যে র‌্যাম পিসি বা মোবাইলের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এটি পাওয়ার যত বেশি থাকবে সেই পিছে বা মোবাইল ফোনটি অথবা মুখে ফোনটি খুব ভালো মানের হয়ে থাকে। আর কোন মোবাইল বা হার্ডডিক্স এর রং যদি কম থাকে তাহলে সেটি ভালোভাবে চলে না বা ভিডিও প্লেয়ারটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না।

বেশি জায়গা থাকলে অথবা র‌্যাম পাওয়ার যদি বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি অনেক জায়গা পাবে এবং ভালোভাবে চলবে। তাহলে চলুন দেখি এবার রম কি?

রম  ইংরেজি রম এর পূর্ণরূপ রিড অনলি মেমরি। সফটারে রাম আগে থেকেই ইনস্টল দেওয়া থাকে। এই রম সাতটা টি ইন্সটল দেওয়া থাকে মেনুফ্যাকচার থেকে। তাই আমরা ইচ্ছা করলেও রাম মুছে ফেলতে পারব না। যদি আমরা মুছে ফেলতে চাই তাহলে আমাদেরকে কিছু কাজ করে নিতে হবে আগে থেকেই। অর্থাৎ মুছে ফেলতে হলে আমাদেরকে বিশেষ কিছু জিনিস জানতে হবে অবশ্যই।

র‌্যাম

কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত একাধিক চিপ নিয়ে র‌্যাম এলাকা গঠিত। র‌্যাম হচ্ছে কম্পিউটারের কর্ম এলাকা। র‌্যামে সব ধরনের লেখা ও পড়া যায়। র‌্যামে তথ্য জমা থাকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে, ফলে র‌্যামের সব তথ্য অস্থায়ীভাবে থাকে।  বিদ্যুৎ চলাচল বন্ধ হলে কিংবা অন্য কোনো কারণে কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে র‌্যামে থাকা  ডেটা ও প্রোগ্রাম মুছে যায়। কম্পিউটার আবার চালু করলেও ঐসব তথ্য ফিরে পাওয়া যায় না। এজন্য  র‌্যামকে কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরি বলা হয়। আর তাই কাজ করার সময় কিছুক্ষণ পর পর তথ্য বা  ডেটা সেভ করতে হয়। 

রম

রম হলো কম্পিউটারের নিজস্ব মেমোরি কেন্দ্র। কম্পিউটার রম থেকে কেবলমাত্র তথ্য পড়তে পারে বা সেই অনুযায়ী কাজ করে। রমের মেমোরিতে রাখা  কোনো তথ্য কম্পিউটার মুছে ফেলতে পারে না এবং পরিবর্তন করতে পারে না। এজন্য রমকে  কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি বলা হয়। কম্পিউটারের রম যত বেশি হবে কম্পিউটার তত কঠিন কাজও  অতি দ্রুত করতে সক্ষম হবে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url