হজ ও ওমরা এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে হজ ও ওমরা এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন হজ ও ওমরা এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন হজ ও ওমরা এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক হজ ও ওমরা এর মধ্যে পার্থক্য কি

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

হজ ও ওমরা এর মধ্যে পার্থক্য কি

হজ ফরজ থাকা অবস্থায় তা আদায়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হজ সম্পন্ন না করে বারবার ওমরা করা অযৌক্তিক। কারণ, শত সহস্র ওমরা হজের সমকক্ষ নয়। অনুরূপভাবে ওমরা আদায় করলে হজ ফরজ হয়ে যায়, এমনটিও সঠিক নয়। হজ যেমন জীবনে একবার করা ফরজ, তেমনি   ওমরা জীবনে অন্তত একবার করা সুন্নত।

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। হজ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি হজের জন্য আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার প্রতিদান করে এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলন করে না এবং মন্দ ও পাপ করে না, তখন তিনি আবার ফিরে আসবেন, যেন তিনি নতুন করে জন্মগ্রহণ করেন। আর ওমরা সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, এক ওমরা থেকে অন্য ওমরা, বা এ দু’য়ের মাঝে কৃত পাপের কাফ্‌ফারাস্বরূপ।

উভয়ই আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা কিন্তু পার্থক্য রয়েছে গুরুত্ব বা পদ্ধতির মধ্যে।

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য তাদের জীবনকালে এটি পালন করা বাধ্যতামূলক যদি তারা শারীরিকভাবে উপযুক্ত বা আর্থিকভাবে এটি করতে সক্ষম হয়। হজ এক নির্দিষ্ট সময়ে করতে হয় কিন্তু ওমরা বছরের যেকোনো সময়ই করা যায়। ওমরার মধ্যে আরাফার ময়দান ও মুজদালিফায় অবস্থান, দুই ওয়াক্ত নামাজ একসঙ্গে আদায় করা ও খুতবার কোনো বিধান নেই। তাওয়াফে কুদূম এবং তাওয়াফে বিদাও নেই। কিন্তু ওই সব কাজ হজের মধ্যে ওমরার মধ্যে তাওয়াফ আরম্ভ করার সময় তালবিয়া পড়া মওকুফ করা হয়। আর হজের মধ্যে জামরাতুল আকাবাতে কংকর নিক্ষেপ করার সময় মওকুফ করা হয়।

ওমরা নষ্ট হলে বা জানাবত (ওই নাপাকী যা দ্বারা গোসল ফরজ হয়) অবস্থায় তওয়াফ করলে দম হিসেবে  একটা ছাগল বা মেষ জবেহ করা যথেষ্ট, কিন্তু হজে তা যথেষ্ট নয় বরং পরবর্তী বছর পুনরায় হজ সম্পন্ন করতে হয়।যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরা পালন করা যায়। একই সফরে একাধিক ওমরা করতে কোনো বাধা নেই।

ওমরা

ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় নিয়ত করে ইহরামসহ কাবা শরিফের চারপাশ সাতবার তাওয়াফ, সাফা মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার সাঈ করা, বা মাথা  মুণ্ডানোকে ওমরা বলে।

হজ

হজ আরবি শব্দ। হজের আভিধানিক অর্থ হলো ইচ্ছা করা এবং সফর বা ভ্রমণ করা। ইসলামি পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ  কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা হারাম মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। হজের নির্ধারিত স্থান হলো  মক্কা শরিফে কাবা, সাফা মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা শরিফে রাসুলুল্লাহ সা.এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা। হজের বিশেষ আমল বা কর্মকাল হলো ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ, অকুফে আরাফাহ, অকুফে  মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দম, কোরবানি, হলক, কছর, জিয়ারতে মদিনা রওজাতুল রাসুল ইত্যাদি।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url