ই মেইল ও জি মেইল এর মধ্যে পার্থক্য কি
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে ই মেইল ও জি মেইল এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ই মেইল ও জি মেইল এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন ই মেইল ও জি মেইল এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক ই মেইল ও জি মেইল এর মধ্যে পার্থক্য কি।
ই মেইল ও জি মেইল এর মধ্যে পার্থক্য কি
ই মেইল হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স চিঠি , আর জি মেইল বা এরকম আরো যারা সার্ভিস দাতারা আছে যারা আপনার ইলেক্ট্রনিক্স চিঠিটি আপনার প্রেরকের কাছে পৌঁছে দেয়। তারা হচ্ছে ভার্চুয়াল পোষ্ট অফিস। তার মানে জি মেইল একটি কোম্পানির সিষ্টেম যার মাধ্যমে আপনার ই মেইলটি আপনার গ্রাহকের কাছে পৌছানো হয়। পৃথিবীতে জি মেইলের মত লাখ লাখ প্রোভাইডার আছে যারা ই মেইল আদান প্রদানের কাজটি করে । আরো সাধারণ করে বলা যায় ই মেইল হচ্ছে চিঠি , জি মেইল হচ্ছে ডাকঘর।
পোষ্ট অপিসের যেমন চিঠি পাঠানোই একমাত্র কাজ না , জি মেইল সহ আরো যারা সার্ভিস প্রোভাইডর আছে , তাদেরও শুধু ইমেইল পাঠানোই কাজ না , তারা আরো অনেক রকম সার্ভিস দেয়।
আমাদের দেশে সহ পৃথিবীর বহুদেশে ই মেইল পাঠানোর জন্য জি মেইল একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার যদি জি মেইলের ই মেইল এড্রেস থাকে তবে সেটা দিয়ে সাধারণত অন্য যে কোন ই মেইল সার্ভস প্রভাইডরকে ই মেইল করা যায় যেমন জি মেইলের ই মেইল এ্যাড্রেস থেকে ইয়াহু , এওএল , কিম্বা আউটলুক যেকোন প্রভাইডরকে। জিমেইলের সাথে আমরা গুগল ড্রাইভ , গুগল ডক্স , গুগল স্প্রেডশিট ইত্যাদি অন্যান্য গুগল অ্যাপগুলিও ব্যবহারকরা যায় । জি মেইল এবং ই মেলের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো জি মেইল হলো একটি নির্দিষ্ট ই মেইল পরিষেবা, অন্যদিকে ই মেইল হলো একটি সাধারণ ধারণা। জি মেইল ছাড়াও আরও অনেক ই মেইল পরিষেবা রয়েছে, যেমন ইয়াহু মেইল , আউটলুক ইত্যাদি।
ই মেইল
ই মেইল তথা ইলেক্ট্রনিক মেইল হলো ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তদানিন্তন আরপানেটে সর্বপ্রথম ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করা হয়। ই মেইল পেতে প্রথম দিকের ই-মেইল ব্যবস্থায় প্রেরক এবং প্রাপক দুজনকেই অনলাইনে থাকতে হত। এখনকার ই মেইল গুলোতে এই সমস্যা নেই । ই মেইল সার্ভারগুলো মেইল গ্রহণ করে এবং সংরক্ষণ করে পরে পাঠায়। একটি ই-মেইল বার্তা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত- বার্তার খাম বা মোড়ক, বার্তার হেডার বা মূল যেটাতে বার্তা কোথায় , কার কাছ থেকে তথ্য থাকে এবং বার্তা। হেডার মেইল নিয়ন্ত্রণের তথ্য বহন করে, যেটাতে কম করে হলেও প্রেরকের ই মেইল ঠিকানা , এক বা একাধিক প্রাপকের ঠিকানা থাকে। কিন্তু সাধারণত আরো বিস্তারিত তথ্যও থাকে যেমন হেডার বিষয়বস্তুর জন্য একটি ফিল্ড এবং বার্তা প্রেরণের তথ্য, গ্রহণের তথ্য প্রভৃতি। এটি আরএফসি ২০৪৫ থেকে ২০৪৯ এ পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া। এই আরএফসি কে এমআইএমই বলে যার অর্থ হল মাল্টিপারপাস ইন্টারনেট মেইল ইক্সটেনশন। বার্তা পাঠানোর প্রক্রিয়ায় এসএমটিপি তার খাম বা এনভেলপ এ ভিন্ন বার্তা এবং হেডার থেকে ডেলিভারি তথ্য জমা করে রাখে।
জি মেইল
জি মেইল একটি বিনামূল্যে ওয়েবমেইল , যার সার্ভিস দেয় গুগল। জি মেইল এ পি ও পি থিরি এবং এই এম এ পি সুবিধা রয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিতে এটি গুগলমেইল নামেই পরিচিত। মূলত জিমেইলের পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয় ১লা এপ্রিল ২০০৪ সংস্করণ আকারে এবং সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে পরবর্তীতে ৭ই জুলাই ২০০৯ পরিপূর্ণ সংস্করণ হিসেবে প্রকাশ করা হয় । শুরুতে ব্যবহারকারীদের জন্য জি মেইল বিনামূল্যে ১ গিগা বাইট স্পেস দেয়। পরবর্তীতে টি ২ গিগা থেকে ৪ গিগাবাইট করা হয়। বর্তমানে বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য জি মেইল ব্যবহারকারীদের ১৫ গিগাবাইট স্পেস দিচ্ছে এর পাশাপাশি ইচ্ছে করলে জায়গা বাড়ানোর সুযোগও দিয়েছে। এক্ষেত্রে ২৫ গিগাবাইটের জন্য মাসিক ২.৪৯ ডলার ,১৬ টেরাবাইট স্পেসের জন্য মাসিক ৭৯৯.৯৯ ইউএস ডলার দিতে হবে । ২০১১ অক্টোবর পর্যন্ত জি মেইলের ব্যবহারকারী ২৬০ মিলিয়ন। ২০০৫ সালের ১ এপ্রিল জিমেইলে প্রথম জন্মদিনে গুগল জিমেইলে স্পেস ১ গিগাবাইট করে।