ব্যবসা ও উদ্যোগ এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে ব্যবসা ও উদ্যোগ এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ব্যবসা ও উদ্যোগ এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন ব্যবসা ও উদ্যোগ এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক ব্যবসা ও উদ্যোগ এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

ব্যবসা ও উদ্যোগ এর মধ্যে পার্থক্য কি

যেকোনো কাজের প্রচেষ্টাকে উদ্যোগ বলে।মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করে ব্যবসায় স্থাপনকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে। উদ্যোগে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকা বাধ্যতামূলক নয়।ব্যবসায় উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন। যেমন স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের আয়োজন একটি উদ্যোগ।মুদি দোকান স্থাপন করা একটি ব্যবসায় উদ্যোগ।

ব্যবসা

ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা বলে। অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসায় এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড বিজ্ঞান যেখানে নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লোকজনকে সংগঠিত করা হয় ও তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা বলে।

আইনানুসারে, ব্যবসা বলতে সেই সংগঠনকে বুঝায়, যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তাকে পণ্য বা সেবা কিংবা, দুটো সুবিধাই প্রদান করে। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে ব্যবসায় লক্ষণীয়ভাবে বিদ্যমান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

ব্যবসায় শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "ব্যস্ত থাকা" অর্থাৎ হয় ব্যক্তিগতভাবে অথবা সমষ্টিগত ভাবে বাণিজ্যিক ভাবে, সমর্থনযোগ্য ও লাভজনক কাজে ব্যস্ত থাকা। সুবিধামত ব্যবসায় শব্দটির কমপক্ষে দুইটি ব্যবহার রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠানকে বুঝাতে একক ভাবে ব্যবহার হয়। একটি নির্দিষ্ট পণ্য অথবা সেবার বাজার ক্ষেত্র বুঝাতে সাধারনত ব্যবহার হয়, যেমন ফুলের ব্যবসায় মিশ্র অর্থে, বা বৃহৎ অর্থে পণ্য ও সেবার সরবরাহ করার জন্যে সকলপ্রকার কার্য সম্পাদন করে এমন দল বা গোষ্ঠীকে বুঝায়।মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় মূলত পাঁচ ধরনের হয়। যথা একমালিকানা ব্যবসায়,অংশীদারি ব্যবসায়,যৌথ মূলধনী অথবা কোম্পানি ব্যবসায়.সমবায় সমিতি,রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়।

উদ্যোগ

ব্যাপক অর্থে ব্যবসায় উদ্যোগ বা ব্যবসায়িক উদ্যোগ বলতে কোনও ধারণা থেকে অর্থনৈতিক মূল্য সৃষ্টি বা বের করে আনার নিষ্কর্ষণ প্রক্রিয়াকে বোঝায়। অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ অর্থে নতুন কোনও পণ্য বা সেবা সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে জায়গা করে নিয়ে মুনাফা উপার্জন করার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় মূলধন ও শ্রম পুঞ্জীভূত করে ঝুঁকি নিয়ে কোনও নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নকশা, সৃষ্টি ও পরিচালনা করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টাকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে। ব্যবসায় উদ্যোগ উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু একই সাথে ফলপ্রদ হতে পারে, এবং এর সুবাদে অর্থনৈতিক সম্পদ সৃষ্টি হতে পারে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে এবং নবীকরণ নূতনের প্রবর্তন ঘটতে পারে। যে ব্যক্তি এইরূপ নতুন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা শুরু করেন ও এর সুবাদে লব্ধ মুনাফার সিংহভাগ উপভোগ করেন, তাকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলে।একজন ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে সাধারণত নতুন ধ্যানধারণা, পণ্য, সেবা বা ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার একজন নবীকারক হিসেবে দেখা হয়। ব্যবসায় উদ্যোক্তারা যেকোনও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা তাদের দক্ষতা ও প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণের সামর্থ্য ব্যবহার করে বাজারের চাহিদা আগে থেকে আঁচ করে ও বাজারে নতুন উন্নত ধারণা নিয়ে আসে। উদ্যোগ সফল হলে তারা সম্ভাবনাময় নবীন ব্যবসা সৃষ্টির ঝুঁকির বিনিময়ে মুনাফা, খ্যাতি ও অবিরাম প্রবৃদ্ধির সুযোগ উপভোগ করে।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url