খ্রিষ্টাব্দ ও খ্রিষ্টপূর্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে খ্রিষ্টাব্দ ও খ্রিষ্টপূর্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন খ্রিষ্টাব্দ ও খ্রিষ্টপূর্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন খ্রিষ্টাব্দ ও খ্রিষ্টপূর্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক খ্রিষ্টাব্দ ও খ্রিষ্টপূর্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

খ্রিষ্টাব্দ ও খ্রিষ্টপূর্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি

খ্রিষ্টাষ্টব্দ এবং খ্রিষ্টপূর্বাব্দ শব্দ দুটো জুলীয় বর্ষপঞ্জি ও গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির বছর গণনার জন্য ব্যবহৃত হয়। আসলে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্টের জন্মের বছর থেকে যে বছর গণনা করা হয়, তাকেই খ্রিষ্টাব্দ বলে। যিশু খ্রিষ্টের জন্ম, জীবন, সেবা কাজ, মৃত্যু, পুনরুত্থান অবিস্মরণীয় করে রাখার জন্য সাধু গ্রেগরি নতুন এ বছরের গণনা শুরু করেছিলেন। আর বর্তমান পৃথিবীতে এ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও প্রচলিত। ১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পোপ ত্রয়োদশ গ্রোগোরির এক আদেশানুসারে এই বর্ষপঞ্জির প্রচলন ঘটেছিল।বছর গণনায় ইংরেজিতে বিসি ও এডি দুটি শব্দ প্রচলিত। ইংরেজি বিসি  শব্দটির পুর্ণ রূপ হলো বিফোর খ্রাইষ্ট যার বঙ্গানুবাদ হলো খ্রিষ্টপূর্ব বা খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। আর ল্যাটিন শব্দ এডি এর পুর্নরূপ ‘অ্যানো ডোমিনি নস্ট্রি জেসু ক্রিস্টি , যার বঙ্গানুবাদ হলো খ্রিষ্টাব্দ। এ গণনারীতি অনুযায়ীই কোনো শূন্য বছর নেই, অর্থাৎ যিশু খ্রিষ্টের জন্মবছরই হলো খ্রিষ্টপূর্ব বছরের শেষ বছর আর খ্রিষ্টাব্দের প্রথম বছর।

গোটা বিশ্ব ২৫ ডিসেম্বর তারিখটি যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন বা বড়োদিন হিসাবে পালন করে। কিন্তু যিশুর জন্মতারিখ কোনো ঐতিহাসিক লেখাপত্রে উল্লেখ নেই। কিন্তু যিশুর জন্ম সংক্রান্ত ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে অধিকাংশ গবেষক যিশুর জন্ম তারিখ হিসেবে ৬ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে ধারণা করে থাকেন।

৩৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রোমে প্রথম ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন হিসাবে পালন করা শুরু হয়। এর পর ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দে পোপ জুলিয়াস এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই এই দিনটিই ক্রিসমাস ডে হিসাবে পালন করা হচ্ছে।এ গণনারীতি অনুযায়ীই কোনো শূন্য বছর নেই, অর্থাৎ যিশু খ্রিষ্টের জন্মবছরই হলো  খ্রিষ্টপূর্ব বছরের শেষ বছর আর খ্রিষ্টাব্দের প্রথম বছর।

গোটা বিশ্ব ২৫ ডিসেম্বর তারিখটি যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন বা বড়োদিন হিসাবে পালন করে। কিন্তু যিশুর জন্মতারিখ কোনো ঐতিহাসিক লেখাপত্রে উল্লেখ নেই। কিন্তু যিশুর জন্ম সংক্রান্ত ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে অধিকাংশ গবেষক যিশুর জন্ম তারিখ হিসেবে ৬ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে ধারণা করে থাকেন।

খ্রিষ্টাব্দ

খ্রিষ্টাব্দ এবং খ্রিষ্টপূর্বের শব্দ দুটো জুলীয় বর্ষপঞ্জি ও গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির বছর গণগনার জন্য ব্যবহৃত হয়। খ্রিষ্টাব্দ  শব্দটি মূলত মধ্যযুগীয় লাতিন শব্দ অ্যানো ডোমিনি  এর পরিভাষা যার অর্থ ঈশ্বরের বছর , তবে প্রায় সময় এর স্থলে  আমাদের ঈশ্বরের বছর  ব্যবহৃত হয়। এটি লাতিন ব্যাকাংশ অ্যানো ডোমিনি নস্ট্রি জেসু ক্রিস্টি থেকে নেওয়া হয়েছে যার অনূদিত বাক্য হচ্ছে আমাদের ঈশ্বর যিশু খ্রিষ্টের বর্ষ ।

খ্রিষ্টপূর্ব 

খ্রিষ্টপূর্ব  বলতে মূলত নাসরৎ এর যিশু খ্রিষ্টের জন্মের পূর্বের বছরগুলো নির্দেশ করে। এটি ইংরেজি বাক্যাংশ বিফোর ক্রাইস্ট  এর পরিভাষা। আন্টে ক্রিস্টাম নাটাম কে সংক্ষেপে আন্টে ক্রিস্টাম  বলা হয়। আরেকটি লাতিন বাক্যাংশ পোস্ট ক্রিস্টাম নাটাম  বর্তমান বহুল ব্যবহৃত খ্রিষ্টাব্দ এর সমার্থক।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url