অংক ও সংখ্যা এর মধ্যে পার্থক্য কি
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে অংক ও সংখ্যা এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন অংক ও সংখ্যা এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন অংক ও সংখ্যা এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক অংক ও সংখ্যা এর মধ্যে পার্থক্য কি।
অংক ও সংখ্যা এর মধ্যে পার্থক্য কি
কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন/প্রতীক সমূহকে অঙ্ক বলা হয়। যেমন দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 10টি প্রতীক আছে 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9 । 0 থেকে 9 এই প্রতীকগুলোকেই অঙ্ক বলা হয়।আবার এক বা একাধিক অঙ্ককে একত্রে সংখ্যা বলে। যেমন 150। 0 থেকে 9 একইসাথে অঙ্ক এবং সংখ্যা।
অঙ্ক বলা হয় সংখ্যা গঠনের একককে। অর্থাৎ যে একক দ্বারা সংখ্যা গঠিত হয় তাকে অঙ্ক বলা হয়। অঙ্ক হচ্ছে নয়টি 0 1 2 3 4 5 6 7 8 9
এবং সংখ্যা বলা হয় যা অঙ্ক দ্বারা গঠিত হয়। অন্য ভাবে বলা যায় হিসেবের একককেই সংখ্যা বলে। সংখ্যার কোন শেষ নেই। 1 থেকে শুরু করে অসীম পর্যন্ত সংখ্যা হয়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল 0 ছাড়া অন্যান্য অঙ্ক গুলো একা একাই সংখ্যা হতে পারে। আবার পরস্পর যুক্ত হয়ে সংখ্যা হয়। অর্থাত দুই বা ততোধিক অঙ্ক যুক্ত হয়ে একটি সংখ্যা গঠিত হয় যেমন 13, 15, 26, 55, 90, 100 ইত্যাদি। আবার একা একাও সংখ্যা হয়, যেমন 1, 2 , 3, 4 , 5 ইত্যাদি।
মনে রাখতে হবে, প্রতিটি অঙ্কই সংখ্যা হতে পারে, কিন্তু প্রতি সংখ্যা কখনোই অঙ্ক নয়।
অংক
সংখ্যা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত একক প্রতীককে অংক বলে। যেমন তিন এবং সাত সংখ্যা দুইটিকে প্রকাশের জন্য যথাক্রমে ৩ এবং ৭ প্রতীক দুইটি ব্যবহার করা হয়। দশমিক পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংকগুলো হলো ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯। তাই দশমিক পদ্ধতিতে মোট অংক সংখ্যা ১০টি। তবে সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য এই প্রতীক এককভাবেও ববহৃত হতে পারে এবং কতকগুলো প্রতীক একত্রিত হয়েও ব্যহৃত হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ ছয় সংখ্যাটিকে প্রকাশ করার জন্য একক প্রতীক ৬ ব্যবহৃত হয়। আবার পাঁচশত চুরাশি সংখ্যাটিকে প্রকাশ করার জন্য তিনটি পৃথক প্রতীক ৫, ৮ ও ৪ কে একত্রে লিখে ৫৮৪ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এখানে ৫, ৮ ও ৪ তিনটি পৃথক প্রতীক বা তিনটি পৃথক অংক। আবার এই প্রতীক বা অংক তিনটির প্রত্যেকটি আলাদাভাবে এক একটি সংখ্যাও বটে। তাহলে বলা যায়, প্রতিটি অংকই এক একটি সংখ্যা। কিন্তু ৫৮৪ হলো কেবল একটি সংখ্যা। ৫৮৪ কে কখনই প্রতীক বলা যায় না। এটি কেবল তিনটি প্রতীক বা অংক দ্বারা গঠিত একটি সংখ্যা।অংক সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান লাভের জন্য অংক কত প্রকার কি কি তা নিয়ে আরো একটু বিশদভাবে আলোচনা প্রয়োজন। আসলে সংখ্যা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে অংক নির্ধারিত হয়। গণিতে প্রয়োজন ও সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। আবার এক এক ধরণের সংখ্যা পদ্ধতিতে এক এক ধরণের অংক ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে কয়েকটি সংখ্যা পদ্ধতি হলো দশমিক পদ্ধতি,বাইনারি পদ্ধতি,অক্টাল পদ্ধতি,হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতি
সংখ্যা
সংখ্যা হলো পরিমাপের একটি বিমূর্ত ধারণা । সংখ্যা প্রকাশের প্রতীকগুলিকে বলা হয় অঙ্ক । এর প্রকৃত উদাহরণগুলি হলো স্বাভাবিক সংখ্যা ১, ২, ৩, ৪ এবং আরও অনেক কিছু। সংখ্যাগুলিকে সংখ্যা থেকে আলাদা করা উচিত, চিহ্নগুলি সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যবহৃত হয়৷ মিশরীয়রা প্রথম সাইফার্ড সংখ্যা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিল এবং গ্রীকরা তাদের গণনা সংখ্যাকে আয়োনিয়ান এবং ডরিক বর্ণমালায় ম্যাপ করে অনুসরণ করেছিল।রোমান সংখ্যা , একটি সিস্টেম যা রোমান বর্ণমালার অক্ষরগুলির সংমিশ্রণ ব্যবহার করে , 14 শতকের শেষের দিকে উচ্চতর হিন্দু আরবি সংখ্যা পদ্ধতির প্রসার না হওয়া পর্যন্ত ইউরোপে প্রভাবশালী ছিল এবং হিন্দু আরবি সংখ্যা পদ্ধতি প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হিসাবে রয়ে গেছে। আজ বিশ্বের সংখ্যা। সিস্টেমের কার্যকারিতার চাবিকাঠি ছিল শূন্যের প্রতীক , যা 500 খ্রিস্টাব্দের দিকে প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদরা তৈরি করেছিলেন।