অনার্স ও ডিগ্রি এর মধ্যে পার্থক্য কি
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে কর এবং আয়করের মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন কর এবং আয়করের মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন কর এবং আয়করের মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক কর এবং আয়করের মধ্যে পার্থক্য কি।
অনার্স ও ডিগ্রি এর মধ্যে পার্থক্য কি
অনার্স হচ্ছে স্নাতক সম্মান আর ডিগ্রি হচ্ছে শুধু স্নাতক। অনার্স ৪ বছর মেয়াদি এবং ডিগ্রি ৩ বছর মেয়াদি। অনার্সে মূলত যেকোন এক বিষয়ের উপর খুঁটিনাটি পড়ানো হয় থাকে তাই তারা ওই বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে গড়ে উঠে। আর ডিগ্রি আলাদাভাবে কয়েকটি বিষয়ের কিছু কিছু অংশ পড়ানো হয়। তাই ডিগ্রীর ছাত্রছাত্রীরা পঠিত কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে কিছু কিছু জ্ঞান লাভ করতে পারে। সার্টিফিকেটের মান ডিগ্রীর চাইতে অনার্সের টার বেশি।
মাস্টার্স হচ্ছে ডিগ্রি করার পর ২ বছর মেয়াদি একটা কোর্স আবার অনার্স করার পর ১ বছর মেয়াদি একটা কোর্স যাকে স্নাতকোত্তর বলা হয়। চাকরির ক্ষেত্রে অনার্স সম্পর্ন কারীদের সরাসরি অনেক ব্যাংক বা কোম্পানিতে চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে কিন্তু ডিগ্রি সম্পর্ন কারীরা মাস্টার্স সম্পর্ন না করলে নিয়োগ দেয়া হয়না।
অনার্স শেষ করে সরাসরি বিসিএস দেয়া যায় আবার ডিগ্রি করে মাস্টার্স না করলে বিসিএস দেয়া যায়না। কিন্তু ডিগ্রি করে মাস্টার্স করলে উভয়ের মান ও অগ্রাধিকার সমান হয়ে যায়।
কোনও শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষাজীবনের প্রথম তিন অথবা চার বছরে একটি পূর্বনির্দিষ্ট শিক্ষাক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্দেশক যে উপাধি প্রদান করে, তাকে স্নাতক উপাধি ব্যাচেলর্স ডিগ্রি বলে। স্থানভেদে স্নাতক শিক্ষাক্রমের মেয়াদ কম বেশি হতে পারে। যে ব্যক্তি স্নাতক উপাধি লাভ করে, তাকে স্নাতক গ্র্যাজুয়েট বলা হয়।আক্ষরিক অর্থে স্নাতক বলতে জ্ঞানের জলে স্নান বা অবগাহন করাকে বোঝায়।
ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলসমূহ, যেমন অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে স্নাতক উপাধি দুই ধরনের হয়ে থাকে সম্মান অনার্স এবং সাধারণ ডিগ্ৰি পাস কোর্স। সম্মানসহ স্নাতক উপাধি বোঝাতে স্নাতক শব্দের পরে সম্মান শব্দটি বন্ধনীর ভেতরে রেখে যুক্ত করা হয়।সম্মানসহ স্নাতক উপাধি অর্জনের জন্য সাধারণ উপাধির পাস কোর্স তুলনায় উৎকৃষ্টতর উচ্চশিক্ষায়তনিক যোগ্যতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণভাবে চার বছর মেয়াদী সম্মান অনার্স ও তিন বছর মেয়াদী সাধারণ ডিগ্রি পাস কোর্স এই দুই ধরনের স্নাতক উপাধি প্রদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে এসব উপাধির জন্য ভর্তি হওয়া যায়। কলাবিদ্যা বা মানববিদ্যা ধারায় স্নাতক উপাধিকে কলাবিদ্যায় স্নাতক ইংরেজিতে ব্যাচেলর অব আর্টস বিএ বলা হয়। চারুকলা ধারায় চারুকলায় স্নাতক ইংরেজিতে ব্যাচেলর অফ ফাইন আর্টস বা সংক্ষেপে বি এফ এ , অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান ধারায় সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ব্যাচেলর অফ সোশ্যাল সায়েন্স বি এস এস , বিজ্ঞান ধারায় বিজ্ঞানে স্নাতক ব্যাচেলর অফ সায়েন্স, সংক্ষেপে বি এস সি এবং ব্যবসায় শিক্ষা ধারায় বাণিজ্যে স্নাতক ইংরেজিতে ব্যাচেলর অফ কমার্স বা বি কম কিংবা ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ইংরেজিতে ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সংক্ষেপে বি বি এ নামক উপাধি দেয়া হয় কিংবা ইংরেজিতে ব্যাচেলার অফ বিজনেস স্টাডিজ বিবিএস । চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়গুলিতে মেডিকেল কলেজ স্নাতক শিক্ষাক্রম ৫ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে এবং এগুলি শেষ করলে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শল্যচিকিৎসায় স্নাতক ইংরেজিতে সংক্ষেপে এম বি বি এস উপাধি প্রদান করা হয়।