আবহাওয়া ও জলবায়ু এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে আবহাওয়া ও জলবায়ু এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন আবহাওয়া ও জলবায়ু এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন আবহাওয়া ও জলবায়ু এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক আবহাওয়া ও জলবায়ু এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

আবহাওয়া ও জলবায়ু এর মধ্যে পার্থক্য কি

যে কোনো নির্দিষ্ট একটি স্থানের নির্দিষ্ট একটি সময়ের বায়ুর উষ্ণতা , চাপ, প্রবাহ, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত, প্রভৃতি উপাদানের  দৈনন্দিন অবস্থাকে আবহাওয়া বলা হয়।

কোনো  বিস্তৃত অঞ্চলের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলা হয়।

আবহাওয়া হলো বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের দৈনন্দিন অবস্থা । এটি হলো বায়ুমণ্ডলের নিচেরস্তরের দীর্ঘকালীন সামগ্রিক  অবস্থা।

আবহাওয়া কোনো স্বল্প  পরিসরে সীমাবদ্ধ স্থানের বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা  সূচিত করে। জলবায়ু একটি  বিস্তৃীর্ণ অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘকালীন গড় অবস্থা নির্দেশ করে।

স্থানভেদে আবহাওয়া সহজেই পরিবর্তিত হয়। স্থানভেদে ও ঋতুভেদে  জলবায়ুর পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া হলো  জলবায়ুর বিভিন্নতা। জলবায়ু হলো  বিভিন্ন আবহাওয়ার সমন্বয়।

আবহাওয়া

আবহাওয়া কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয়  অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। 

আবহাওয়া নিয়ত  পরিবর্তনশীল একটি চলক। আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে তাকে আবহাওয়া বিজ্ঞান বলা হয় । আবহাওয়া হলো বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, উদাহরণস্বরূপ এটি তাপমাত্রা বা শীতল, ভেজা বা শুকনো, শান্ত বা ঝড়ো, পরিষ্কার বা মেঘলা এমন ডিগ্রি বর্ণনা করে 1 পৃথিবীতে, বেশিরভাগ আবহাওয়া ঘটনাটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরে, এবং ট্রপোস্ফিয়ার এ স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর ঠিক নীচে ঘটে। আবহাওয়াটি প্রতিদিনের তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ক্রিয়াকলাপকে বোঝায় , যেখানে জলবায়ুটি দীর্ঘ সময়ের জন্য বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার গড়। আবহাওয়া  সাধারণত পৃথিবীর আবহাওয়া বোঝাই বোঝানো হয়।আবহাওয়া একটি ক্ষুদ্র এলাকার বায়ুর বৈশিষ্ট্য।দীর্ঘদিনের বৈজ্ঞানিক  পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে জলবায়ু সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিরা ধারণা  দিয়ে থাকেন।

জলবায়ু

জলবায়ু কোনো নির্দিষ্ট স্থানের সুদীর্ঘ সময়ের, সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড় বা সামগ্রিক অবস্থার হিসাবকে জলবায়ু বলে। সাধারণত বৃহৎ এলাকাজুড়ে জলবায়ু  নির্ণীত হয়ে থাকে। জলবায়ুর পরিবর্তন আবহাওয়ার পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল। কোনো স্থানের আবহাওয়ার পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আবহাওয়ার এ পরিবর্তন সাধারণত ঐ স্থানের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রভৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আর কোনো স্থানের আবহাওয়ার  উপাদানগুলোর স্থায়ী পরিবর্তন হলো জলবায়ু পরিবর্তন। কোনো স্থানের জলবায়ু হঠাৎ পরিবর্তিত হয় না। জলবায়ু পরিবর্তন একটি ধীর ও চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি উষ্ণ , আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। মৌসুমি বায়ুর প্রভাব এখানে এত অধিক যে, এ জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু' নামে পরিচিত।জলবায়ু কতিপয় বিষয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে, যেগুলোকে জলবায়ুর নিয়ামক বলা হয়ে থাকে।






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url