পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে 

এই পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে আমরা সবাই সুনির্দিষ্টভাবে জানি যে, পৃথিবীর প্রথম মানুষের নাম আদম, আজকের এই টিউটোরিয়ালে পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি না জেনে থাকেন যে পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য যার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে  এবং পৃথিবীর প্রথম মানুষ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে পারবেন।

পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে 

পৃথিবীর প্রথম মানুষ হলেন একটি আদর্শ চিত্রসহ রয়েছে মানব সভ্যতার। তিনি আমাদের জন্য একটি অপূর্ব উদাহরণ। এই প্রথম মানুষের সৃষ্টি, তাঁর বিশৃঙ্খলা, সাধারণ জীবন-প্রণালী, সৃষ্টির উৎপাদন, ইত্যাদি সম্পর্কে আরো জানা, বিশ্লেষন, এবং চিন্তা করা দরকার। পৃথিবীর প্রথম মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞরা মানবের উৎপত্তি হলো অর্থহীন একটি ঘটনা, কিন্তু এটি কেন ঘটে? আরও কিছু বিশেষজ্ঞরা মানবের উৎপত্তি হলো যুগান্তরের ফলাফল, কিন্তু এর আগে কিছু ঘটনা ঘটেছিল।সাধারণত, এরা মনে করেন, একটি বিশেষ কারনে, পৃথিবীর প্রাথমিক মানুষের উৎপত্তি হলো একেকটি প্রাণী থেকে। মানবের পূর্ববর্তী আদর্শ চিত্র হিসাবে গাঁথালি মানব নামের একটি জন বিপ্লবের জন্য চরিত্রিত হয়েছিলেন।


আদম আব্রাহামিয় ধর্ম এবং বিভিন্ন পৌরনৈতিক কাহিনীতে উল্লেখিত একজন ব্যক্তি। এছাড়াও ইহুদি খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাস অনুসারে তিনি হলেন প্রথম সৃষ্টি মানব। এবং ইসলাম ধর্মের বর্ণনা মতে তিনি আল্লাহ প্রেরিত রাসূল বা বাণীবাহক ইসলাম ধর্মে তাকে হযরত আদম (আ:) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তার স্ত্রী ছিলেন হাওয়া ( আ:) আব্রাহামিক ধর্মানুসারে হাওয়া (আ) কে হবা বলা হয। ইসলাম ধর্মে তাকে হাওয়া  (আ) বলা হয় এবং তিনি হলেন পৃথিবীর সর্বপ্রথম নারী। 

আদম ও হাওয়াকে স্বর্গ থেকে বিতরণ 

আদমের জীবনের পূর্বের দিনগুলি খুব স্পষ্ট না জানা। কিন্তু, ধারণা করা হয়েছে যে আদম প্রথমে একা ছিলেন এবং পরে তার সঙ্গে হাওয়া নামক একজন অনুযায়ী ছিলেন। তারা ঈদেন গার্ডেনের সাথে খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহৃত হয়। সৃষ্টির পর আদম এবং হাওয়ার অবস্থান ছিল বেহেস্তের বা স্বর্গে। সেখানে তাদের জন্য গন্ধম ফল খাওয়া নিষেধ ছিল। শয়তানের প্ররোচনায় হাওয়া গন্ধ ফল খেয়ে ফেলেন এবং আদমকে এর ফল খেতে উৎসাহিত করেন। এটি মানুষের আদি পাপ বলে পরিগণিত হয়। এর শাস্তি স্বরূপ আল্লাহ তাদের স্বর্গ থেকে বিতরণ করেন এবং শাস্তিরূপে তাদের পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন ।আদম এবং হাওয়া পৃথিবীর বিভিন্ন দুটি স্থানে অবতরণ করেন। আদম আবর্তন করেন সিংহল। দীর্ঘদিন পর আরবের আরাফাত নামক প্রান্তে তাদের পূর্ণ মিলন হয়। 

প্রথম মানব ও নবী   

ইসলাম ধর্ম মোতাবেক আদম আল্লাহর সৃষ্টির প্রথম মানব।পবিত্র কুরআনে বর্ণনা থেকে জানা যায় আল্লাহতালা যখন ফেরেশতাদেরকে জানালেন যে তিনি পৃথিবীতে তার প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন তখন ফেরেশতারা বলল আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে অশান্তি সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে। অথচ আমরাই তো আপনার প্রশংসা সহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তখন আল্লাহ বলেন নি সন্দেহে আমি যা জানি তোমরা তা জানো না। 


আল্লাহ তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেন তারপর তার দেহে প্রাণ সঞ্চয় করে। হাওয়া কে সৃষ্টি করা হয় আদমের পাঁজরের একটি হাড় থেকে। সৃষ্টির পর তাদের আবার সয় বেহেস্ত বা জান্নাতে। মানুষ যেহেতু সকল সৃষ্টির সেরা তাই আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে আদেশ করলেন আদমকে সেজদা করার জন্য। ইবলিশ ব্যতীত সকল ফেরেশতা এই আদেশ প্রতিফলন করলেন কুরআনে বলা হয়েছে। ইবলিশ শয়তান বললেন আমি আগুনে সৃষ্টি আর আদম মাটির তৈরি আমি তাকে সেজদা করতে পারবো না। আল্লাহর আদেশ অমান্য করা আল্লাহ পাক শয়তানকে বেহেস্ত থেকে বিতরণ করলেন। আদম ও হাওয়াকে বেহেশতে রাখিলেন। একটি নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার কারণে আদম ও হাওয়াকে আল্লাহ বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত করেন। ১০০ বছর পর আবার তাদের পূর্ণ মিলন হয় এবং পৃথিবীতে তিনি সর্বপ্রথম নবী ছিলেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url