ঢাকা থেকে খুলনা কত কিলোমিটার

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে ঢাকা থেকে খুলনা কত কিলোমিটার, ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী, ঢাকা থেকে খুলনা যেতে কত সময় লাগে এবং ঢাকা থেকে খুলনা বাস ভাড়া এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ঢাকা থেকে খুলনা কত কিলোমিটার, ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী, ঢাকা থেকে খুলনা যেতে কত সময় লাগে এবং ঢাকা থেকে খুলনা বাস ভাড়া তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন ঢাকা থেকে খুলনা কত কিলোমিটার, ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী, ঢাকা থেকে খুলনা যেতে কত সময় লাগে এবং ঢাকা থেকে খুলনা বাস ভাড়া চলুন জেনে নেয়া যাক।

ঢাকা থেকে খুলনা কত কিলোমিটার

খুলনা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং এটি দেশের অন্যতম প্রধান বন্দর নগরী। এখানে রয়েছে সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। এছাড়াও, খুলনা শহরে রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, যেমন খান জাহান আলীর মাজার, রূপসা সেতু, এবং শিবসা নদী। খুলনা শিল্প ও বাণিজ্যের জন্যও বিখ্যাত, বিশেষ করে চিংড়ি এবং পাটশিল্পের জন্য। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী খুলনা পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। যদিও এটি সরাসরি রাস্তা দিয়ে মাপা দূরত্ব, কার্যত এই যাত্রা করতে গিয়ে কিছুটা বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়।

ঢাকা থেকে খুলনা যাত্রার জন্য সড়ক পথ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ এবং কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে সরাসরি বাস ছেড়ে যায়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, এবং নড়াইল পাড়ি দিয়ে খুলনা যাওয়ার পথটি বেশ সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সময় এবং দূরত্ব উভয়ই কমে এসেছে। 

ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য ট্রেনও একটি আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি খুলনার উদ্দেশ্যে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, এবং বঙ্গবন্ধু সেতু এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করে। ট্রেনে যাত্রা করার সময়, রেলপথের সুদৃশ্য দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। যারা একটু ভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাদের জন্য ঢাকা থেকে খুলনা নৌপথে যাওয়ার একটি বিকল্প রয়েছে। সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে বরিশাল হয়ে খুলনা যাওয়া যায়। নৌপথে যাত্রা সময়সাপেক্ষ হলেও, নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এবং এটি একটি অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। যাত্রার মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার সময় পরিবর্তিত হয়। বাসে যেতে সাধারণত ৬-৮ ঘন্টা সময় লাগে, তবে পদ্মা সেতুর কারণে সময় কিছুটা কমে এসেছে। ট্রেনে যাত্রা করতে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা সময় লাগে এবং নৌপথে যাত্রা করতে সময় লাগে প্রায় ১৮-২০ ঘন্টা।

বাসে যাত্রার খরচ সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকে, যাত্রার ধরণ ও সেবার মানের উপর নির্ভর করে। ট্রেনে যাত্রার খরচ প্রথম শ্রেণীতে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং সাধারণ শ্রেণীতে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা হতে পারে। নৌপথে যাত্রার খরচ লঞ্চের ধরণ এবং সুবিধার উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হয়। সরাসরি বাস সার্ভিস এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ট্রেন পথ আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ। নৌপথ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ এবং একটি অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য ট্রেন ভ্রমণ একটি আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম। ট্রেন যাত্রায় প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি যানজটের ঝামেলা ছাড়াই যাতায়াত করা যায়। এখানে ঢাকা থেকে খুলনা রুটের ট্রেনগুলোর সময়সূচী এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে ধরা হলো।

সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন নম্বর ৭২৬ ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় সকাল ৮:১৫ এবং খুলনা পৌঁছানোর সময় বিকাল ৪:০০ মিনিট, সপ্তাহে বন্ধ বুধবার।চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন নম্বর ৭৬৪ ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় রাত ৭:০০ এবং খুলনা পৌঁছানোর সময় রাত ৩:৩০ মিনিট, সপ্তাহে বন্ধ সোমবার। বঙ্গবন্ধু সেতু এক্সপ্রেস ট্রেন নম্বর ৭৫৭ ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় সকাল ৬:৪৫ এবং খুলনা পৌঁছানোর সময় বিকাল ২:৩০ মিনিট, সপ্তাহে বন্ধ বৃহস্পতিবার। ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আরামদায়ক এবং সময়নিষ্ঠ। সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, এবং বঙ্গবন্ধু সেতু এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ট্রেনগুলোতে এসি, নন-এসি, এবং শোভন চেয়ার সহ বিভিন্ন শ্রেণীর আসন রয়েছে। এসি কেবিন ও স্নিগ্ধা কোচে আরামদায়ক যাত্রার জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হয়। এসি কেবিনে ব্যক্তিগত কেবিন, উন্নত মানের আসন, এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থাকে। স্নিগ্ধা কোচে তুলনামূলকভাবে কম ভাড়ায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যাত্রা করা যায়। শোভন চেয়ার কোচে সাধারণত আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী ভাড়ায় যাত্রা করা যায়। এসব কোচে সাধারণ আসন থাকলেও সেবার মান ভালো।

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকেট বুকিং সুবিধা প্রদান করে। রেলসেবা অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই টিকেট কেনা যায়। এছাড়া কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি টিকেট কেনা সম্ভব। ঢাকা থেকে খুলনা আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রার সময় সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। যাত্রার সময় ট্রেনের ধরন এবং রেলপথের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। স্নিগ্ধা ১২০০-১৫০০ টাকা, সি সিট ১১০০-১৪০০ টাকা এবং শোভন চেয়ার ৪৫০-৬০০ টাকা।

খুলনা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং এটি দেশের অন্যতম প্রধান বন্দর নগরী। এখানে রয়েছে সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। এছাড়াও, খুলনা শহরে রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, যেমন খান জাহান আলীর মাজার, রূপসা সেতু, এবং শিবসা নদী। খুলনা শিল্প ও বাণিজ্যের জন্যও বিখ্যাত, বিশেষ করে চিংড়ি এবং পাটশিল্পের জন্য। সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, এবং বঙ্গবন্ধু সেতু এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো সময়নিষ্ঠ এবং যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকেটের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে যাত্রার পরিকল্পনা করলে ভ্রমণ আরামদায়ক ও আনন্দময় হয়।

ঢাকা থেকে খুলনা বাস ভাড়া

ঢাকা থেকে খুলনা যাতায়াতের জন্য বাস অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। বিভিন্ন পরিবহন সংস্থা এই রুটে নিয়মিত বাস সার্ভিস পরিচালনা করে। ভাড়া, সময়সূচী, এবং সুবিধার ভিত্তিতে যাত্রীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাস বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখানে ঢাকা থেকে খুলনা বাস ভাড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হলো। নন-এসি বাস সার্ভিস সাধারণত সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য। এই ধরনের বাসগুলোতে সাধারণত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকে না, তবে আসনগুলো আরামদায়ক। নন-এসি বাসের ভাড়া সাধারণত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে থাকে। কিছু জনপ্রিয় নন-এসি বাস কোম্পানি হল গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এবং শ্যামলী পরিবহন। এসি বাস আরামদায়ক এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রার জন্য এসি বাস একটি ভালো বিকল্প। এসব বাসের আসনগুলো আরামদায়ক এবং যাত্রীদের সেবা উন্নত মানের। এসি বাসের ভাড়া সাধারণত ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে থাকে। কিছু জনপ্রিয় এসি বাস সার্ভিস হল গ্রীন লাইন, শ্যামলী, এবং সৌদিয়া পরিবহন।

ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার প্রধান সড়কপথ হলো ঢাকা-মাওয়া-ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ-নড়াইল-খুলনা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ পথটি অনেক বেশি সময় সাশ্রয়ী হয়েছে। বাসের ধরন এবং সড়কের অবস্থার উপর ভিত্তি করে যাত্রার সময় পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, নন-এসি বাসে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা, আর এসি বাসে সময় লাগে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা।

বর্তমানে বেশিরভাগ বাস কোম্পানি অনলাইন টিকেট বুকিং সুবিধা প্রদান করে। জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে বিডি টিকেট, সহজ ডটকম, এবং বাসবিডি ডটকম। এছাড়াও, গাবতলী, কল্যাণপুর, এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি টিকেট কেনা সম্ভব। গ্রীন লাইন পরিবহন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাস সার্ভিস। তাদের এসি এবং নন-এসি উভয় ধরনের বাস রয়েছে। গ্রীন লাইনের বাসগুলো আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য। হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাস সার্ভিস দেশের প্রায় সব বড় শহরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। তাদের এসি এবং নন-এসি বাস উভয়ই ঢাকা থেকে খুলনা রুটে চলাচল করে।শ্যামলী পরিবহন দেশের অন্যতম প্রধান বাস সার্ভিস। তাদের বাসগুলো আরামদায়ক এবং সেবার মান ভালো। শ্যামলী পরিবহনের এসি এবং নন-এসি উভয় ধরনের বাস ঢাকা থেকে খুলনা যাত্রায় সুবিধাজনক।

ঢাকা থেকে খুলনা বাস যাত্রা আরামদায়ক, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। নন-এসি এবং এসি বাস উভয় ধরনের অপশন থাকায় যাত্রীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাস বেছে নিতে পারেন। সঠিক সময়সূচী ও টিকেট বুকিংয়ের মাধ্যমে যাত্রা পরিকল্পনা করলে ঢাকা থেকে খুলনা যাত্রা আনন্দময় ও সাশ্রয়ী হয়। বাস সার্ভিসের মান এবং ভাড়ার তথ্য জেনে যাত্রার প্রস্তুতি নিলে যাত্রীরা সহজেই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।

ঢাকা থেকে খুলনা যেতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে খুলনা বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এ দুটি শহরের মধ্যে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা যায়। যাত্রার সময় নির্ভর করে কোন মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সেই মাধ্যমের বিভিন্ন কার্যকরী শর্তের উপর। ঢাকা থেকে খুলনা যাত্রার সময়কাল নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ঢাকা থেকে খুলনা যাতায়াতের জন্য বাস একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কপথে যাত্রার সময় কমে এসেছে। পদ্মা সেতু হয়ে। ঢাকা-মাওয়া-ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ-নড়াইল হয়ে খুলনা পৌঁছানো যায়। নন-এসি বাসে সময় লাগে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা এবং এসি বাসে সময় লাগে প্রায় ৭-৯ ঘণ্টা। যাত্রার সময়কালে সড়কের অবস্থার এবং যানজটের কারণে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে।

যারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে যাত্রা করেন, তাদের জন্যও পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রার সময় সাধারণত ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যে থাকে, যা সড়কের অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য ট্রেন একটি আরামদায়ক ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস এবং বঙ্গবন্ধু সেতু এক্সপ্রেস প্রধান ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম। ট্রেনে যাত্রার সময় সাধারণত ৮-১০ ঘণ্টা। ট্রেনের ধরন ও সেবার মানের উপর নির্ভর করে সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। যারা একটু ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাদের জন্য নৌপথ একটি ভালো বিকল্প। সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে বরিশাল হয়ে খুলনা যাওয়া যায়। লঞ্চে যাত্রার সময় সাধারণত ১৮-২০ ঘণ্টা। নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে লম্বা যাত্রাটি একটি অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে।

সড়কপথে যাত্রার সময় যানজট একটি বড় সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে ঢাকার অভ্যন্তরে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে। পদ্মা সেতুর কারণে সময় কিছুটা কমে এসেছে, তবে যানজটের কারণে সময় বৃদ্ধি পেতে পারে। সড়কের অবস্থা যাত্রার সময়ের উপর বড় প্রভাব ফেলে। ভালো সড়কের কারণে যাত্রার সময় কমে আসে, তবে খারাপ সড়কের কারণে সময় বৃদ্ধি পেতে পারে। ট্রেনে যাত্রার সময় নির্ভর করে ট্রেনের সিডিউল এবং ট্রেনের চলাচলের উপর। কখনো কখনো ট্রেনের সময়সূচীতে বিলম্ব হতে পারে, যা যাত্রার সময় বাড়াতে পারে। অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া পরিস্থিতি, যেমন ভারী বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়া, যাত্রার সময় প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে নৌপথে যাত্রার ক্ষেত্রে আবহাওয়া বড় ভূমিকা পালন করে।

ঢাকা থেকে খুলনা যাত্রা একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা যা বিভিন্ন পথে এবং মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। সড়ক, রেল, এবং নৌপথে যাত্রার মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের পছন্দ ও আরামের ভিত্তিতে খুলনা পৌঁছাতে পারেন। যাত্রার সময় ও খরচ কিছুটা ভিন্ন হলেও, প্রতিটি মাধ্যমই যাত্রীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার পথটি কেবল একটি ভ্রমণ নয়, বরং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি সাক্ষাৎকার।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url