আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে

প্রিয় পাঠক আজকের এই টিউটোরিয়ালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী প্রধানতম দল আওয়ামী লীগ বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনার যারা রাজনীতি করেন বা বিশেষ করে যারা আওয়ামী লীগ দলের রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের জন্য আজকের এই টিউটোরিয়াল টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই টিউটোরিয়ালে আপনি আওয়ামী লীগ শব্দের অর্থ কি, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কমিটি, আওয়ামী লীগের মূলনীতি কি, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, আওয়ামী লীগের সম্মেলন, আওয়ামী লীগের স্লোগান, আওয়ামী লীগের লোগো সহ এই দলে সকল খুটিনাটি বিষয়াবলি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র  হতে কেন্দ্র বামপন্থী একটি রাজনৈতিক দল, ২০০৯ সাল থেকে টানা ১৫ বছর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন এই দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী প্রধানতম দল। আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ বা  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র শাখার নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুব শাখার নাম বাংলাদেশ যুবলীগ, মহিলা শাখার নাম বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক শাখার নাম বাংলাদেশ কৃষক লীগ, শ্রমিক শাখার নাম বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগ আর স্বেচ্ছাসেবক শাখার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

আওয়ামী লীগ শব্দের অর্থ কি

অনেকেই মনে করেন আওয়ামী আরবী শব্দ আওয়াম থেকে এসেছে আসলে তাদের ধারণা ভুল! কেননা عَوّام এর অর্থ ভাসা রাজনীতির ক্ষেত্রে ভাসা শব্দের কোনো অর্থবহন করে না। তাহলে আওয়ামী শব্দের অর্থ কি? আওয়ামী লীগ এর অর্থ উর্দু ভাষার আওয়াম থেকে এসেছে যার অর্থ হচ্ছে জনগন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ অর্থ হচ্ছে জনগনের দল।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে

অনেকেই বলেন বা মনে করেন যে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিন্তু এই কথাটি ভুল। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে এই প্রশ্নের উত্তরে কোনো নির্ধারিত ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করা নেই। ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে নতুন দল গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক সম্মেলন আহবান করা হয়। বিকেল ৩টায় সম্মেলন শুরু হয় সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শামসুল হক, শওকত আলী, আনোয়ারা খাতুন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, আবদুল জব্বার খদ্দর, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আতাউর রহমান খান, মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, আলী আমজাদ খান, ইয়ার মুহম্মদ খান, মওলানা শামসুল হক, মওলানা এয়াকুব শরীফ, আবদুর রশিদ প্রমুখ। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, আর সহ সভাপতি করা হয় আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ কে। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও খায়ের মিয়া কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা আওয়ামী লীগের জন্মদিন ২৩ জুন। চলতি বছর সারা দেশে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিন সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, এছাড়াও রাজধানীসহ সারা দেশে রঙিন পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড টানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

আওয়ামী লীগের মূলনীতি কি

প্রতিটা রাজনৈতিক দলের কিছু মূলনীতি থাকে বা আছে, আওয়ামী লীগের মূলনীতি হলে ৪ টি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূলনীতির মধ্যে একটি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি মূলনীতি। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ হলো একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি বাংলাদেশের সংবিধানের আসল সংস্করণের চারটি মূল স্তম্ভের মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ অন্যতম যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে প্রধান অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করছে। 

সমাজতন্ত্র হচ্ছে এমন একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উৎপাদনের উপকরণের সামাজিক মালিকানা এবং অর্থনীতির একটি সমবায় ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা। অর্থাৎ এটি এমন একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সম্পদ ও অর্থের মালিকানা সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে একটি দেশের কলকারখানা, খনি, জমি ইত্যাদি সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। আর গনতন্ত্র সম্পর্কে কো আমরা সবাই জানি যে গণতন্ত্র এমন একটি শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নীতি নির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক বা সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকে।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র জানতে হলে আপনি সরাসরি এই লিংকে চলে যান যেখানে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র নিয়ে অনেক বড় ও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়েছে।


আওয়ামী লীগের স্লোগান

আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে জয় বাংলা কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্লোগান ব্যবহার করা হয়। জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রতিশ্রুতির জন্য প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ইশতেহার দিয়ে থাকে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল গ্রাম হবে শহর আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল স্লোগান ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশ। তবে সবসময় আওয়ামী লীগ যেই স্লোগানটি ব্যবহার করেন সেটি হলো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

আওয়ামী লীগ কমিটি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর, সেই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটানা ১০ বারের মতো সভাপতি হয়েছেন শেখ হাসিনা এবং তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। আর সভাপতিমন্ডলীর সদস্যের তালিকায় রয়েছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিমিন হোসেন রিমি, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, জেবুন্নেছা হক, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান।

সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মণি। কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান।

অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু। 

কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।

যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।

শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার।

শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।

সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী। উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বিপুল ঘোষ, দীপঙ্কর তালুকদার, আমিরুল আলম মিলন, বেগম আখতার জাহান, ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর মেরিনা জামান, পারভীন জামান কল্পনা, সফুরা বেগম রুমি, অধ্যাপক আলী আরাফাত, তারানা হালিম, সানজিদা খানম, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি ও তারিক সুজাত।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন 

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ করা আওয়ামী লীগ এর প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন আর সর্বশেষ ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দলটির সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২২ টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ছে যার মধ্যে ১৯৫৭ সালে চতুর্থ সম্মেলনটি বাদে সব সম্মেলনই হয়েছিল ঢাকায়, চতুর্থ সম্মেলন হয় টাঙ্গাইলের কাগমারীতে। নিচে আওয়ামী লীগ এর অনুষ্ঠিত সকল সম্মেলনের সাল তারিখ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম তুলে ধরা হলো।


প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন সেই সম্মেলন সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আর সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।


দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালের ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর, এবং দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আর সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।


তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়  ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৫ সালের ২১ থেকে ২৪ অক্টোবর এবং তৃতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, ও  সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।


চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়  ১৯৫৭ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আর সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।


পঞ্চম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালরর ৬ ও ৮ মার্চ সভাপতি হন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।


ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের ১৮ থেকে ২০ মার্চ এবং এই সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বারের মতো সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।


সপ্তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ।


অষ্টম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৪ জুন যেখানে তৃতীয় বারের মতো সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমদ।


নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালের ৭ ও ৮ এপ্রিল সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রথম বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন জিল্লুর রহমান।


দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালের ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর প্রথম ও শেষ বাবের মতো দলের সভাপতি হন এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।


১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালের ৩ ও ৪ এপ্রিল যেখানে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন কে আহ্বায়ক করা হয়। তবে, এর আগে ১৯৭৬ সালে দল পুনরুজ্জীবনের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মহিউদ্দিন আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দায়িত্ব পালন করেন।


১২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালের ৩ থেকে ৫ মার্চ যার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আবদুল মালেক উকিল সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন


১৩তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আর এই সম্মেলের মধ্যে দিয়ে  শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো দলের সভাপতির দ্বায়িত্ব নেন। আর সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক। তবে আবদুর রাজ্জাক বহিষ্কৃত হলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন।


১৪তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৭ সালের ১ থেকে ৩ জানুয়ারি সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।


১৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালের ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।


১৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালের ৬ ও ৭ মে, সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।


১৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখে, সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল।


১৮তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই সভাপতি শেখ হাসিনা, এবং প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।


১৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর, সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।


২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের  ২২ ও ২৩ তারিখ, যেখানে প্রথম বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের আর সভাপতি শেখ হাসিনা।


২১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০-২১ তারিখ, সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: ওবায়দুল কাদের।


২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখ, সভাপতি শেখ হাসিনা, এবং টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের।

প্রিয় পাঠক এই ছিলো বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়ে আমাদের এই ছোট নিবন্ধ, আমরা চেষ্টা করেছি আওয়ামী লীগ বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্য গুলো জানানোর আশা করি এই টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলেন। আর হ্যাঁ আপনার যদি মনে হয় কোনো তথ্য ভুল আছে বা আরো কিছু তথ্য এখানে যুক্ত করা দরকার তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেগুলো যুক্ত করে দিবো। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url