খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খল এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খল এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খল এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খল এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খল এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খল এর মধ্যে পার্থক্য কি

সূর্যশক্তি খাদ্যের মাধ্যমে এক জীব হতে অপর  জীবে স্থানান্তরের ফলে যে শৃঙ্খল গঠিত হয় তাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।  বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে প্রকাশ করে।  একটি পরিবেশে কয়েকটি খাদ্যশৃঙ্খল থাকতে পারে।  সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্যশৃঙ্খলের শুরু। এখানে খাদক উৎপাদক, বিয়োজক  একসঙ্গে নাও থাকতে পারে।  পরিবেশে বিদ্যমান খাদ্যশৃঙ্খলগুলো একটি অপরটিসাথে যুক্ত  হয়ে খাদ্যজাল তৈরি করে। বিভিন্ন  খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে।  একটি  পরিবেশে একটি খাদ্যজাল থাকে।  খাদ্যজালের শুরুর উপাদানটি নির্দিষ্ট  নয়।  এখানে  খাদক, উৎপাদক, বিয়োজক এক সঙ্গে থাকে।

খাদ্যজাল

খাদ্যজাল বা খাদ্যচক্র বহু  খাদ্যশৃঙ্খলের সংযোগে তৈরী হওয়া একটি ছক যা প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় কে কি বা কাকে খায়  তা সাধারণত চিত্রের আকারে তুলে ধরে। বাস্তুবিদ ও পরিবেশবিদরা সমস্ত জীবিত শরীরকে দুই ট্রাফিক  পর্যায়ে ভাগ করেছেন  স্বয়ংসম্পূর্ণ জৈব শরীর যারা নিজেদের খাদ্য স্বয়ং তৈরী করতে সক্ষম, পর নির্ভর জৈব শরীর যারা নিজেদের খাদ্য তৈরিতে অক্ষম ও পুষ্টি  সংগ্রহের হেতু পর শরীরের ওপর নির্ভরশীল। এরা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হলেও  অটোট্রফদের ওপর নির্ভরশীল। সমস্ত প্রাণীর মতোই নিজেদের শরীরের স্বাভাবিক জৈবিক কার্য বজায় রাখতে, নিজেদের বৃদ্ধি , বিকাশে ও পুনরুৎপাদনের হেতু অটোট্রফরা অজৈবিক পদার্থসমূহ থেকে জৈবিক পদার্থ তৈরী করে। এইসব রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য যা এনার্জি প্রয়োজন হয়  তা প্রধানত সার্বজনীন প্রাণ ও শক্তিদাতা অর্থাৎ সূর্যের থেকেই আসে , যদিও জলাভূমিতে তার কিছুটা অংশ বায়োইলেট্রোজেনেসিস এর ফলে ও হটস্প্রিং বা হাইড্রোথার্মাল  ভেন্ট গুলিতে খনিজ ইলেকট্রন দানের ফলে তৈরির হয়।চার্লস এলটন তাঁর ১৯২৭  সালে রচিত গ্রন্থ এনিম্যাল ইকোলজি তে খাদ্যচক্র , খাদ্যশৃঙ্খল ও খাদ্যাকারের ধারণা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে এলটন এর খাদ্যচক্রের ধারণা খাদ্যজালের ধারণায় রূপান্তরিত হয় ।

খাদ্যশৃঙ্খল

খাদ্যশৃঙ্খল বা খাদ্যশিকল হচ্ছে  উৎপাদক জীব অর্থাৎ, উদ্ভিদ যা খাদ্য তৈরির জন্য সূর্যের বিকিরণ ব্যবহার করে থেকে শুরু করে শীর্ষে অবস্থানকারী  সর্বোচ্চ স্তরের খাদক বা শিকারী প্রজাতির গ্রিজলি ভাল্লুক বা খুনে তিমির মতো এবং বিয়োজক তথা মৃতভোজী যেমন কেঁচো বা ঘুনপোকা এবং পচনকারীতে যেমন ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া সমাপ্ত হওয়া কোনও খাদ্যজালের  বিভিন্ন অংশের একটি রৈখিক সম্পর্ক। এছাড়াও একটি খাদ্য শৃঙ্খল আরও দেখায় বিভিন্ন জীব খাদ্যের জন্য কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। খাদ্য শৃঙ্খলের প্রতিটি স্তর একটি আলাদা ট্রফিক স্তর  প্রতিনিধিত্ব করে। খাদ্য জাল থেকে খাদ্য শৃঙ্খল আলাদা। কারণ কোন বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন প্রাণির মধ্যে খাদ্য খাদকের সম্পর্কের জটিল নেটওয়ার্ক একত্রিত হয়ে খাদ্য জাল তৈরি হয় । অন্যদিকে খাদ্য শৃঙ্খল কেবল অল্প কয়েকটি জীবের মধ্যে খাদ খাদকের একমূখী সম্পর্ক। অনেকগুল ৯ খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে প্রাকৃতিক আন্তঃসংযোগগুলো  মিলে একটি খাদ্য জাল তৈরি হয়। অর্থাৎ , খাদ্য শৃঙ্খল হচ্ছে খাদ্য জালের একটি অংশ। বেশিরভাগ প্রজাতির বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য শৃঙ্খল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি খাদ্য শৃঙ্খল থেকে কেবল একটি উপাদান সরিয়ে ফেলা হয় , তাহলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এর প্রতিক্রিয়ায় কোনও প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। উৎপাদক  জীব তথা উদ্ভিদ সৌর শক্তি বা রাসায়নিক শক্তিকে ব্যবহারযোগ্য যৌগে রূপান্তরিত করতে পারে। 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url