গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য কি

যখন অনার্স বা সমমনা ডিগ্রির রেজাল্ট বা সার্টিফিকেট পায় তখন থেকে সে গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট বা স্নাতক হিসেবে গন্য হয়।পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মাস্টার্স বা সমমনা ডিগ্রি সম্পূর্ণ শেষ হলে বলা হয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বা স্নাতকোত্তর।

গ্রাজুয়েট

কোনও শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষাজীবনের প্রথম তিন বা চার বছরে একটি পূর্বনির্দিষ্ট শিক্ষাক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্দেশক যে উপাধি প্রদান করে, তাকে স্নাতক উপাধি ব্যাচেলর্স ডিগ্রি বলে। স্থানভেদে স্নাতক শিক্ষাক্রমের মেয়াদ কম-বেশি হতে পারে। যে ব্যক্তি স্নাতক উপাধি লাভ করে, তাকে স্নাতক গ্র্যাজুয়েট  বলা হয়। আক্ষরিক অর্থে স্নাতক বলতে জ্ঞানের জলে স্নান বা অবগাহন করাকে বোঝায়।

ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলসমূহ, যেমন অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে স্নাতক উপাধি দুই ধরনের হয়ে থাকে  সম্মান অনার্স এবং সাধারণ ডিগ্ৰি পাস কোর্স। সম্মানসহ স্নাতক উপাধি বোঝাতে স্নাতক শব্দের পরে সম্মান শব্দটি বন্ধনীর ভেতরে রেখে যুক্ত করা হয়।সম্মানসহ স্নাতক উপাধি অর্জনের জন্য সাধারণ উপাধির পাস কোর্স তুলনায় উৎকৃষ্টতর উচ্চশিক্ষায়তনিক যোগ্যতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণভাবে চার বছর মেয়াদী সম্মান অনার্স ও তিন বছর মেয়াদী সাধারণ ডিগ্রি পাস কোর্স এই দুই ধরনের স্নাতক উপাধি প্রদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে এসব উপাধির জন্য ভর্তি হওয়া যায়।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট

স্নাতকোত্তর যা মাস্টার্স ডিগ্রী নামেও পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি লাভের পরবর্তীতে বিষয় ভিক্তিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আরও উচ্চ শিক্ষা সনদ লাভের একটি কোর্স যা সাধারণত এক বা দুই বছর মেয়াদী অধ্যয়নপর্ব শেষে কোন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রি।ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলসমূহ, যেমন অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য তিন বছর স্নাতক পাস কোর্সের জন্য বা চার বছর   স্নাতক অনার্স কোর্সের জন্য মেয়াদি ডিগ্রী অর্জন করতে হয়।বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণভাবে এক বছর অথবা প্রতিষ্ঠান ভিক্তিক দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। স্নাতক অথবা স্নাতক সম্মান উত্তীর্ণ হওয়ার পরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ভর্তি হওয়া যায়।কলা বা মানবিক ধারায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির নাম এম.এ., চারুকলা ধারায় এম.এফ.এ., অন্যদিকে সামাজিক বিজ্ঞান ধারায় এম.এস.এস., বিজ্ঞান ধারায় এম.এসসি., ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষায় এম.টি.আই.এস এবং ব্যবসায় শিক্ষা ধারায় এম.কম. বা এম.বি.এ এবং আইন বিষয়ে এলএল.এম নামে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয়। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এক বা দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url