গণহত্যা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে গণহত্যা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন গণহত্যা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন গণহত্যা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত। চলুন জেনে নেয়া যাক গণহত্যা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

গণহত্যা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত

খুলনার ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’। এখানে আছে বাঙালির মুক্তি, স্বাধীনতার স্পৃহা আর মুক্তিযুদ্ধকালের সবচেয়ে মর্মন্তুদ পর্বের অসংখ্য নিদর্শন। সেগুলোর সামনে দাঁড়ালে দর্শনার্থীর চোখে ভেসে ওঠে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মমুহূর্তের যন্ত্রণার দিনগুলো।খুলনা শহরে এই জাদুঘরের শহীদ গ্যালারিতে এসব নিদর্শনের দেখা মেলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের উৎসাহে ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনায় এই জাদুঘর যাত্রা শুরু করে। শুরুতে ময়লাপোতা এলাকার শেরেবাংলা রোডের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৫ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরের ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডের দ্বিতল একটি বাড়ি উপহার দেন। সংস্কারের পর ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ সেই বাড়িতে স্থানান্তর হয় জাদুঘরটি। ১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতনের নিদর্শন সংরক্ষণ, বধ্যভূমি ও গণকবর-সংক্রান্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা, গণকবর ও বধ্যভূমি চিহ্নিত করা এবং গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এটি দেশের একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর। এটি খুলনায় স্থাপনের অন্যতম কারণ চুকনগর বধ্যভূমি এখানে অবস্থিত। চুকনগরে ১৯৭১ সালের সবচেয়ে বড় ও নৃশংস গণহত্যাটি চালিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরেরা।তবে শুধু খুলনা অঞ্চল নয়, মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশের বিভিন্ন গণহত্যার নিদর্শন জায়গা পেয়েছে এই জাদুঘরে। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর পাঞ্জাবি,বিবিসির সংবাদদাতা নিজামউদ্দীন আহমেদের কোট শহীদুল্লা কায়সারের দুটি টাই ও ডায়েরি, ডা. আলীম চৌধুরীর ভিজিটিং কার্ড, সেলিনা পারভীনের কলম ও শাড়ি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের পাঞ্জাবি, পায়জামা ও পাণ্ডুলিপি, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার লেখা বই, ল্যাম্প, ডেন্টাল টুলকিট ও ডায়েরি আছে জাদুঘরে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা এগুলো জাদুঘরে দান করেছেন।একাত্তরে শহীদ হন সেকান্দার আলী সেরনিয়াবাতের তিন সন্তান। ১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সেকান্দারকে তিন হাজার টাকার চেক দেন বঙ্গবন্ধু। শহীদ সন্তানদের শেষ স্মৃতি হিসেবে সেই চেকের টাকা আর তোলেননি সেকান্দার। চেকটি রাখা আছে পাশের একটি বাক্সে।জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই আছে ৫ হাজারের ওপর। গণহত্যা ও নির্যাতনের ওপর বাঁধানো ছবি আছে ১৫৫টি। আগরতলার শিল্পীদের আঁকা ‘শিল্পীর চোখে গণহত্যা-নির্যাতন আর্ট’ শিরোনামের ছবি আছে ১২টি। ২০১৫ সালে ‘শিল্পীর চোখে গণহত্যা নির্যাতন’ নামে একটি আর্ট ক্যাম্প হয়, সেখানকার ছবি আছে ১৭টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রামাণ্যচিত্রের ২৫০টি সিডিসহ মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যার নানান নিদর্শন আছে।

জাদুঘরের ১১ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গণহত্যা জাদুঘর এটি।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url