বন্ড ও ডিবেঞ্চার এর মধ্যে পার্থক্য কি
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে বন্ড ও ডিবেঞ্চার এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন বন্ড ও ডিবেঞ্চার এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন বন্ড ও ডিবেঞ্চার এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক বন্ড ও ডিবেঞ্চার এর মধ্যে পার্থক্য কি।
বন্ড ও ডিবেঞ্চার এর মধ্যে পার্থক্য কি
বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণপত্র। এ ঋণপত্র ছেড়ে ইস্যুকারি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। ডিবেঞ্চার ও বন্ডের মতোই এক ধরনের ঋণপত্র।
স্টক এক্সচেঞ্জে তালকাভুক্ত অথবা তালিকা বহির্ভূত কোন কোম্পানি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদনক্রমে বাজারে ঋণপত্র ছেড়ে তার বিপরীত অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এতে সুদের হার উল্লেখ করা থাকে। সে অনুসারে নির্দিষ্ট সময় পর পর বন্ড বা ডিবেঞ্চারের বিপরীতে সুদ প্রদান করা হয়। সুদের সঙ্গে মূলধনের আংশিক অর্থ প্রদান করা হয়। তবে এটি বন্ড বা ডিবেঞ্চারের ধরনের উপর নির্ভর করে। বন্ড বা ডিবেঞ্চার দুই ধরনের হতে পারে কনভার্টেবল এবং রিডেমেবল। কনভার্টেবল বন্ড ও ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে ওই সিকিউরিটিজের একটি অংশ, ক্ষেত্র বিশেষে পুরোটা শেয়ারে পরিণত হয়। অন্যদিকে রিডেমেবল বন্ড বা ডিবেঞ্চার হচ্ছে এমন একটি ঋণপত্র নির্দিষ্ট সময়ে পর জাল পূর্ণ অবসান ঘটে।
ডিবেঞ্চারের বিপরীতে সাধারণ সম্পদ বন্ধক বা অন্য কোন জামানত থাকে না।ইস্যুকারি কোম্পানির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসই একজন বিনিয়োগকারীর প্রধান ভরসা।
বন্ড
বন্ড এক ধরণের ঋণপত্র যা সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রকারের হতে পারে। বন্ড সাধারণত স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি এবং মেয়াদবিহীন হয়। অর্থের প্রয়োজনে সরকার, ব্যাংক, বীমা কোম্পানি দেশ ও দেশের বাহিরে বন্ড বিক্রয় করতে পারে। বন্ড বিক্রয়ের কারণে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করতে হয়। যারা বন্ড ক্রয় করেন তারা সুদ পেয়ে থাকেন। বন্ড স্টক একচেঞ্জে তালিকাভূক্ত হতে পারে আবার নাও পারে। বন্ড তালিকাভূক্ত হলে শেয়ারের মত ক্রয় বিক্রয় করা যায়। আমাদের দেশে বন্ড গুলো মূলত সরকারি। আমাদের দেশে এসিআই বন্ড হচ্ছে তালিকাভূক্ত
ডিবেঞ্চার
অনেক সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো প্রাথমিক উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়ে। এ সময় অর্থ সংগ্রহের জন্য ডিবেঞ্চার ছাড়া হয়। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে প্রতিষ্ঠান বা জনগনের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সুদের বিনিময়ে এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যে ঋণ নেয়া হয় তাকে ডিবেঞ্চার বলে। সুদের টাকা প্রতি ৬ মাস অন্তর প্রদান করতে হয়। কর্তৃপক্ষ চাইলে ডিবেঞ্চার স্টক একচেঞ্জে তালিকাভূক্ত করাতে পারে। ডিবেঞ্চার তালিকাভূক্ত হলে শেয়ারের মত ক্রয় বিক্রয় করা যায়। কিন্তু নানা কারণে আমাদের দেশে ডিবেঞ্চার এখনো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেনি। অথচ বিনিয়োগের জন্য শেয়ারের চাইতে ডিবেঞ্চার নিরাপদ। যেসব বিনিয়োগকারী ঝুঁকি নিতে চান না তাদের জন্য ডিবেঞ্চার উপযোগী। মেয়াদ শেষে ডিবেঞ্চারের টাকা পরিশোধ করতে হয়।