অংক ও গণিতের মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে অংক ও গণিতের মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন অংক ও গণিতের মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন অংক ও গণিতের মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক অংক ও গণিতের মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

অংক ও গণিতের মধ্যে পার্থক্য কি

অংক হলো গণিত প্রকাশের সাংকেতিক  চিহ্ন । 0 থেকে 9 পর্যন্ত এগুলো হল অংক আর এগুলো কে এবং এগুলো একে অপরের সাথে বসে  তৈরি হয় সংখ্যা । আর অংক , সংখ্যা বিভিন্ন হিসাব করার চিহ্ন ব্যবহার করে যে সমস্যা গুলো তৈরি হয় তাদের সামগ্রিক বিষয় কে বলা হয় গণিত । 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9, এগুলো হলো অংক।

অংক

সংখ্যা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত একক প্রতীককে অংক বলে। যেমন তিন বা সাত সংখ্যা দুইটিকে প্রকাশের জন্য যথাক্রমে ৩ এবং ৭ প্রতীক দুইটি ব্যবহার করা হয়। দশমিক পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংকগুলো হলো  ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯। তাই দশমিক পদ্ধতিতে মোট অংক সংখ্যা ১০টি। তবে সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য এই প্রতীক এককভাবেও ববহৃত হতে পারে এবং কতকগুলো প্রতীক একত্রিত হয়েও ব্যহৃত হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ  ছয় সংখ্যাটিকে প্রকাশ করার জন্য একক প্রতীক ৬ ব্যবহৃত হয়। আবার পাঁচশত চুরাশি সংখ্যাটিকে প্রকাশ করার জন্য তিনটি পৃথক প্রতীক ৫, ৮ ও ৪ কে একত্রে লিখে ৫৮৪ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এখানে ৫, ৮ ও ৪ তিনটি পৃথক প্রতীক বা তিনটি পৃথক অংক। আবার এই প্রতীক বা অংক তিনটির প্রত্যেকটি আলাদাভাবে এক একটি সংখ্যাও বটে। তাহলে বলা যায়, প্রতিটি অংকই এক একটি সংখ্যা। কিন্তু ৫৮৪ হলো কেবল একটি সংখ্যা। ৫৮৪ কে কখনই প্রতীক বলা যায় না। এটি কেবল তিনটি প্রতীক বা অংক দ্বারা গঠিত একটি সংখ্যা।অংক সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান লাভের জন্য অংক কত প্রকার কি কি তা নিয়ে আরো একটু বিশদভাবে আলোচনা প্রয়োজন। আসলে সংখ্যা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে অংক নির্ধারিত হয়। গণিতে প্রয়োজন ও সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। আবার এক এক ধরণের সংখ্যা পদ্ধতিতে এক এক ধরণের অংক ব্যবহৃত হয়।এর মধ্যে  কয়েকটি সংখ্যা পদ্ধতি  হলো দশমিক পদ্ধতি,বাইনারি পদ্ধতি,অক্টাল পদ্ধতি,হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতি।

গণিত

গণিত হলো জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে সংখ্যা, সূত্র  এবং সম্পর্কিত কাঠামো, আকার এবং সেগুলির মধ্যে থাকা স্থানগুলি এবং পরিমাণ এবং তাদের পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই বিষয়গুলি যথাক্রমে সংখ্যা তত্ত্বের প্রধান উপশাখা, বীজগণিত,  জ্যামিতি, এবং বিশ্লেষণ। তবে একাডেমিক শৃঙ্খলার জন্য একটি সাধারণ সংজ্ঞা সম্পর্কে গণিতবিদদের  মধ্যে কোন সাধারণ ঐকমত্য নেই।গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য  রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা  করা হয়। গণিতবিদগন বিশৃঙ্খল ও অসমাধানযুক্ত সমস্যাকে  শৃঙ্খলভাবে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া খুঁজে বেড়ান এবং তা সমাধানে নতুন ধারণা প্রদান করে থাকেন। গাণিতিক প্রমাণের মাধ্যমে এই ধারণাগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত গবেষণায় বছরের পর বছর, যুগের পর  যুগ বা শত শত বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা।১৯শ  শতকের শুরুতে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের যে আধুনিক ধারা সূচিত হয় , সে সংক্রান্ত গবেষণাগুলির ফলাফল প্রকাশের জন্য জটিল গাণিতিক মডেল উদ্ভাবন করা হয়। বিশুদ্ধ গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে  গবেষণায় জোয়ার আসে। অন্যদিকে ২০শ  শতকের মাঝামাঝি সময়ে কম্পিউটারের আবিষ্কার এ সংক্রান্ত সাংখ্যিক পদ্ধতিগুলির গবেষণা বৃদ্ধি করে।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url