আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত

আইফেল টাওয়ার একটি প্রযুক্তির অজানা মেরুদন্ড হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি। এটি প্যারিসের প্রধান সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং কারাগার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই আকর্ষণীয় স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল ধাতুর তৈরি হাতিয়ার অবলম্বন সিস্টেমের মাধ্যমে। এই মেটালিক স্থাপনা একটি অসাধারণ মৌলিক প্রযুক্তি ছিল, যা তার সময়ে সর্বোচ্চ বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন ছিল।

আইফেল টাওয়ারের সাথে সংযোগিত আরেকটি সুন্দর বৈশ্বিক স্মৃতিচিহ্ন হ'ল নীচে অবস্থিত চমৎকার চমৎকার পার্ক। এই টাওয়ারের মাধ্যমে প্যারিসের শহরের অপেক্ষাকৃত উচ্চতা থেকে চিত্রবিদ আরও উচ্চ দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। আজকালে, আইফেল টাওয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও একটি আকর্ষণীয় বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন প্রকারের উদ্যোগ, প্রতিযোগিতা, ও বিজ্ঞানের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বছর, লাখ লাখ পর্যটক আইফেল টাওয়ার পর্যটন করে এবং তার সুন্দর সৌন্দর্যে মতিমুখী হয়ে ওঠে। এটি একটি অমর সুন্দর স্মৃতি যা প্যারিসের সংগ্রামে চিরকাল বেঁচে থাকার সাক্ষী।

প্রিয় পাঠক আজকের এই টিউটোরিয়ালে আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি না জেনে থাকেন যে আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত বা আইফেল টাওয়ার কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য যার মাধ্যমে আপনি আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত আইফেল টাওয়ার কত তলা, আইফেল টাওয়ার উচ্চতা কত, আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত, আইফেল টাওয়ারের স্থপতি কে, আইফেল টাওয়ার কিসের প্রতীক, আইফেল টাওয়ার কেন তৈরি করা হয় এবং আইফেল টাওয়ার সম্পর্কে আরো অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আইফেল টাওয়ার কত তলা

আইফেল টাওয়ার উচ্চতা কত

আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত

আইফেল টাওয়ারের স্থপতি কে

আইফেল টাওয়ার কিসের প্রতীক

আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত

আইফেল টাওয়ার কেন তৈরি করা হয়

আইফেল টাওয়ার সম্পর্কে অজানা তথ্য

আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত

ফরাসী যুগ কে স্বরনীয় করে রাখতে নির্মাণ করা হয়েছিলো আইফেল টাওয়ার। আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের আকর্ষণ এবং গোটা বিশ্বে পরিচিত এক নাম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার আইফেল টাওয়ারটি ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও তা অমান্য করা হয়েছে। নির্মাণের ২০ বছর পর এটি খুলে ফেলারও সিদ্বান্ধ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই আইফেল টাওয়ারে খ্যাতি ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে । ১৩১ বছর কিছু বলছিল বয়সী এ টাওয়ার কাছে টানছে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আর সমৃদ্ধি রাখছে দেশের অর্থনীতিতে।


যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর এভাবেই মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে লোহা দিয়ে তৈরী এ স্তম্ভ যা কিনা সপ্তম আশ্চার্য্যের অন্যতম নিদর্শন। কিন্তু প্রশ্ন হলো পর্যটকদের কাছে দেখার মতো কি এমন বস্তু এটি, যাকে ঘিরে বছর জুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে প্যারিসে। আইফেল টাওয়ার, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের সেইন নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম নিদর্শন। গোস্তাব আইফেল ১৮৮৯ সালে এটি নির্মাণ করেন। ১০৫০ ফুট উচ্চতার এ বিশাল টাওয়ার টি মাত্র ৩০০ জন শ্রমিক ২ বছর ২ মাস ২ দিনে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।পরবর্তী ১৯৪০ সালের আগপর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩০০মিটার উচ্চতা সম্পন্ন এ টাওয়ারটিই ছিলো সবচেয়ে উচ্চতর টাওয়ার ।১৮,০৩৮ টি খন্ড লোহার তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ছোট বড় জিনিস জোড়া দিয়ে এই টাওয়ার তৈরি করা হয়েছিল। টাওয়ারের চুড়া থেকে পুরো শহরের সৌন্দর্য্য দেখা যায় বলে অনেক পর্যটককে আকর্ষন করে এই আইফেল টাওয়ার। প্রতি বছর কয়েক লক্ষাধিক পর্যটক ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস আসেন শুধু মাত্র আইফেল টাওয়ারকে কেন্দ্র করে।


সূর্যাস্তের পর প্রতি ঘন্টায় ৫ মিনিটি করে ২০০০০ বাল্বের আলোক ছটা এক অপরুপ সৈৗন্দর্য্য ধারন করে যা কিনা পর্যটকদের আকর্ষনীয় করে তুলে। বিশেষ দিনগুলোতে আইফেল টাওয়ারকে বিশেষ ভাবে সাজানো হয়। ফলে আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পায়। তিল ধরারও ঠাই থাকে না, দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড় থাকে চোখে পড়ার মতো।আইফেল টাওয়ার শুধু ফ্রান্সের সৌন্দর্য্য বর্ধণ করেনি বরং এটি অবদান রাখছে জাতীয় অর্থনীতিতেও। আইফেল টাওয়ার উড়িয়ে দেয়ার হুমকিও এসেছে জঙ্গি সংগঠন আই এস এস থেকে তাই আইফেল টাওয়ারকে বিশেষ নিরাপত্তার বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে এর সৌন্দর্য্য দেখার সুযোগ রয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url