গ্রামীণফোনের প্রতিষ্টাতা কে
বাংলাদেশের অন্যতম মুঠোফোন সেবাদাতা কোম্পানি গ্রামীণফোন অন্য অপারেটর এর তুলনায় ফোনে কথাবলা ও ইন্টারনেট সেবার খরচ অনেক বেশি নেয়া হলেও দাম সেবার খারাপ মান, অযাতিত কল ও বার্তা দিয়ে গ্রাহকদের বিরক্ত করা ও অযথা অনুমতি ব্যতীত সেবা চালু করে দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ ও সমালোচনার মুখে সম্মুখীন হয়েছে। এমন কি অপারেটর পরিবর্তন সেবা চালুর পর সবচেয়ে বেশি গ্রামীণফোনের গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করেছেন। এত কিছুর পরেও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান টেলিকম পরিষেবা হচ্ছে গ্রামীনফোন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নত মানের সেবা প্রদানকারী গ্রামীণফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি।২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হয় ৪জি সেবা। আর ২০২২ সালের মার্চ মাসে পরিবেশবান্ধব ডিজিটাল সিমের এখনই সময় স্লোগানে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গ্রাহকদের জন্য ই-সিম সামনে নিয়ে আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৪জি নেটওয়ার্কের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
গ্রামীণফোনের প্রতিষ্টাতা কে?
আমরা সবাই জানি যে গ্রামীনফোনের প্রতিষ্টাতা হচ্ছে নোবেল বিজয়ী ড. মোঃ ইউনুস, হ্যাঁ একথা সত্যি, তবে গ্রামীনফোন প্রতিষ্টার পিছনে সবথেকে বড় অবদান যার তিনি হচ্ছে বাংলাদেশী ও মার্কিন শিল্পোদ্যোক্তা ইকবাল কাদির, বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির লেগাটাম সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়ারশিপ এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার পাশাপাশি তিনি এমআইটি প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত সাময়িকী ইনোভেশনস টেকনোলজি, গভার্নেন্স গ্লোবালাইজেশন এর সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
গ্রামীণফোনের মুল সংস্থার নাম কী?
গ্রামীণফোনের মূল সংস্থার নাম টেলিনর, টেলিনর একটি নরওয়েজীয় বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানী, যার সদর দপ্তর অবস্থিত নরওয়ের রাজধানী অসলোর কাছকাছি 'ব্যারাম' নামক পৌরসভার 'ফরনেবু' নামক উপদ্বীপ শহরাঞ্চলে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই টেলিযোগাযোগ কোম্পানির ৫৪.৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক নরওয়ে সরকার আর গ্রামীণফোনের ৫৫.৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক টেলিনর। এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ১৩টি দেশে টেলিনরের মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং ২৯টি দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম রয়েছে অসলো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানি টেলিনর। টেলিনরের বাজার মূল্য ২২৫ বিলিয়ন নরওয়েজীয় ক্রোন, অসলো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মাঝে যা তৃতীয় বৃহত্তম।
গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী
গ্রামীনফোনের বর্তমান সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন ইয়াসির আজমান, গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে আজমান ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে থেকে ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে আজমান টেলিনর গ্রুপের বিতরণ এবং ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এচাড়াও অফিস পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, কাস্টমার এক্সিকিউটিভ ও অন্যন্য কর্মকর্তা কর্মচারী মিলিয়ে গ্রামীনফোনের প্রায় আড়াই হাজার কর্মী আছেন।
গ্রামীণফোনের আয় ব্যয়
গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মোবাইল টেলিকমের বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি অংশ দখল করে আছে গ্রামীণফোন। ২০১৮ সালের একুশে টিভির অনলাইন নিউজ প্রোটাল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী গ্রামীণফোনের মোট আয় হচ্ছে ১৩২.৮ বিলিয়ন যার মধ্যে নীট আয় হচ্ছে ৩৫.২ বিলিয়ন।