ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর নাম কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর নাম কি এবং ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর নাম কি এটা জানতে চান তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি  আপনার জন্য যার মাধ্যমে আপনি ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর নাম কি এবং ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে জানতে পারবেন চলুন জেনে নেয়া যাক। 

ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর নাম কি

ইরাকের প্রেসিডেন্ট এর নাম হলো বারহাম সালিহ। বারহাম সালিহ ইরাকের অষ্টম তম প্রেসিডেন্ট। ইরাকের জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা হলো ২৭৫ টি।  ইরাকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে ডিসেম্বর। 2009 সালের ইরাকি কুর্দিস্তান আইনসভা নির্বাচনে কুর্দিস্তানি তালিকার নেতৃত্ব দেন বারহাম সালিহ। তিনি 111টি আসনের মধ্যে 59টি আসন পেয়েছে। বারহাম সালিহ কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেশারভান ইদ্রিস বারজানির স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১৮ সালে ২ অক্টোবরে  ইরাকের অষ্টম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। বারহাম সালিহ ২১৯ ভোট পান এবং ২২ ভোট পেয়ে ফুয়াদ হোসেনকে পরাজিত করেন।

বারহাম সালিহ জন্ম ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে। বারহাম সালিহ এর বয়স হলো ৬৩ বছর। বারহাম সালিহ ১৯৮৩ সালে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নির্মাণে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বারহাম সালিহ লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পরিসংখ্যান এবং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। হামিদ কারজাই এর স্ত্রীর নাম হলো সরবাগ সালিহ। হামিদ কারজাই এর পূর্বসূরী ছিলেন  ফুয়াদ মাসুম এবং উত্তরসূরী হলো আব্দুল লতিফ রশিদ।

ইরাকের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল লতিফ রশিদ (Abdul Latif Rashid) একজন ইরাকী রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৯২২ সালে জন্ম করেন। রশিদ ইরাকের প্রাক্তন বিদ্রোহী দল ইরাক আন্দোলনের (Iraqi National Movement) প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতা ছিলেন।

রশিদের রাজনীতিতে প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৫০ সালের দশকে হয়েছিল, যা তার কর্মসূচি ও রাষ্ট্রীয় সমর্থন বাড়াতে সাহায্য করেছিল। তিনি ইরাকের নাসির সরকারের সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তী দশকে বিভাগীয় রাজনীতি এবং সরকারি সংস্থানের বিকাশে কাজ করেন। রশিদের প্রধান রাষ্ট্রীয় পদস্থান সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ছিল। তার পদস্থানে তিনি জনগণের সুবিধার জন্য কঠোর প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে প্রয়োগ করেছিলেন। রশিদের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইরাকের রাজনীতিতে ইসলামী আওয়ামী মুকাবিলা (Islamic Dawa Party) এবং ইরাকি শিয়া জামাতের (Iraqi Shia Council) সহায়তা করা। 

রশিদ ইরাকের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ১৯৯৫ সালে নির্বাচিত হন। তিনি ইরাকের রাষ্ট্রপতি হিসাবে পদত্যাগ করেন ১৯৯৬ সালে। পরবর্তীতে তিনি মিশরে বাস করতে নিয়োগ পেলেন। আব্দুল লতিফ রশিদ ২০১৩ সালে মৃত্যু হন। তার মৃত্যুর পর তিনি বিশিষ্ট একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে স্মরণীয় থাকেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url