প্রাণ কোম্পানির বর্তমান মালিক

প্রাণ কোম্পানি একটি প্রমুখ খাদ্য ও পোষাক উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠান। এটি বিভিন্ন ধরনের খাবার ও খাবার পণ্য উৎপাদন করে, যেমন নুডলস, বিস্কুট, চকোলেট, দুধ, স্ন্যাকস, প্রসের্ভ ও কনফেকশনারি পণ্য। প্রাণ একটি পরিবারের নাম এবং তারা প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক নাম হিসেবে কাজ করে। তারা দেশের অনেক অংশে উন্নত ও পৌঁছেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের সন্তুষ্টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই টিউটোরিয়ালে প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের, প্রাণ  কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কে, প্রাণ কোম্পানির বর্তমান মালিক, প্রাণ কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান, প্রাণ কোম্পানির মালিক কি কাদিয়ানী, প্রাণ কোম্পানির হেড অফিস কোথায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানবো।

প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ হচ্ছে বাংলাদেশি কোম্পানি, একটি বৃহৎ খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।প্রাণ কোম্পানি উল্লেখযোগ্য পণের মধ্য হচ্ছে খাদ্য জাতীয় পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গার্মেন্টস খাত, প্রিন্ট মিডিয়া, ঔষধ সামগ্রী, কৃষিজ সামগ্রী ইত্যাদি। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক লিমিটেড দুটি কোম্পানি। এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড ও রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড এছাড়াও রয়েছে প্রাণ ফুডস লিমিটেড, প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড, হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড, ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেড, বঙ্গ বেকার্স লিমিটেড (অলটাইম ও বিস্ক ক্লাব ব্র্যান্ড), প্রাণ কনফেকশনারি লিমিটেড, সান বেসিক কেমিক্যালস লিমিটেড, প্রাণ এগ্রো লিমিটেড, নাটোর এগ্রো লিমিটেড, প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেড, চরকা টেক্সটাইল লিমিটেড, প্রাণ এক্সপোর্টার্স লিমিটেড, আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেড ইত্যাদি। প্রাণ কোম্পানি বাণিজ্যক অঞ্চলের মধ্য রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য

প্রাণ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কে

প্রাণ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন আমজাদ খান চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায় ব্যক্তি। বাংলাদেশের ব্যবসা জগতে একটি অগ্রণী নাম। তার নেতৃত্বে প্রাণ কোম্পানি বাংলাদেশের বৃহত্তম খাবার ও পোষাক উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানের হিসেবে পরিচিত। প্রাণ প্রতিষ্ঠানিক পথে অনেক যাত্রা করেছে এবং এটি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আমজাদ খান চৌধুরী জন্মস্থান নাটোরে তিনি ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার নবকুমার ইন্সস্টিটিউট থেকে তার শিক্ষা জীবন শুরু এরপর পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি ও অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। টানা ২৫ বছর চাকরি কয়ার পর মেজর জেনারেল হিসেবে আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর ১৯৮১ সালে তিনি রংপুরে টিউবওয়েল তৈরির কারখানা হিসেবে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) প্রতিষ্ঠা করেন।  এরপর ১৯৮৫ সালে গড়ে তোলেন এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি, যার ব্র্যান্ড নাম প্রাণ।

প্রাণ কোম্পানির বর্তমান মালিক

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মালিক  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন আমজাদ খান চৌধুরী কিন্তু উনার মৃত্যুর পর প্রাণ কোম্পানির বর্তমান মালিক উনার স্ত্রী এবং ছেলে মেয়ে আমজাদ খান চৌধুরী সাবিহা আমজাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির চার সন্তান রয়েছে। তারা হলেন আজার খান চৌধুরী, আহসান খান চৌধুরী, ডা. সেরা হক, ও উজমা চৌধুরী এর মধ্যে আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন

প্রাণ কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন আহসান খান চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায় ব্যক্তি। তিনি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বাংলাদেশের প্রধান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি, যা খাদ্য ও পোষাক উৎপাদন, বিপণন এবং প্রক্রিয়াজাত পণ্যের উৎপাদনে নিবাস করে। আহসান খান চৌধুরী তার ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে একটি প্রযুক্তিবিদ এবং উন্নত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা ও অর্থনীতি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

প্রাণ কোম্পানির মালিক কি কাদিয়ানী

প্রাণ কোম্পানির হেড অফিস কোথায়

হেড অফিস হ'ল একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিস বা মুখ্য কার্যালয় বোঝায়। এটি সাধারণত সংস্থার উচ্চতম ম্যানেজমেন্ট লেভেলের কার্যালয় হয় যেখানে প্রতিষ্ঠানের মূল নীতি, পরিকল্পনা এবং নির্ণয় নিয়ে নির্ধারণ গ্রহণ করা হয়। হেড অফিসে সাধারণত উচ্চমানের প্রধান কার্যালয় পরিচালনা করে এবং সমস্ত শাখা অফিস ও কার্যক্রমের উচ্চতম স্তরের নির্দেশনা প্রদান করে। এটি সাধারণত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম এবং নীতিমালা পরিচালনা করে এবং সার্বিক প্রদর্শন এবং লাভের নিরীক্ষণ করে। প্রাণ কোম্পানির হেড অফিস বা সদরদপ্তর হচ্ছে প্রাণ-আরএফএল সেন্টার, ১০৫, প্রগতি স্বরণি, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url