হিজবুল্লাহ কোন দেশের সংগঠন

হিজবুল্লাহ একটি সালাফী ইসলামী সংগঠন, যা লেবাননের প্রায় সম্পূর্ণ হিজারা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে আছে। এই সংগঠনের পূর্বাধিকারী নাম ফিলিস্তিন ইসলামিক আন্দোলন ছিল, যা 1980 সালে লেবাননের ইসলামিক জিহাদ মুজাহিদীন সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। হিজবুল্লাহের উদ্দেশ্য মূলত ইসলামী আইডেলোজি অনুসারে ইসলামিক আদালত এবং প্রতিরোধ করা ইসরায়েলি সামরিক অক্ষমতা বিরুদ্ধে লড়াই করা। প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের এই টিউটোরিয়ালে হিজবুল্লাহ কোন দেশের সংগঠন, হিজবুল্লাহ নামের অর্থ কি ,হিজবুল্লাহ সামরিক শক্তি, হিজবুল্লাহ বাহিনী কারা এই সকল বিষয়াবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা কর হবে। আপনি যদি হিজবুল্লাহ কোন দেশের সংগঠন এবং হিজবুল্লাহ  সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।

হিজবুল্লাহ কি

হিজবুল্লাহ হচ্ছে লেবানন ভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থী একটি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন, ইসলামিক প্রচার ও তত্ত্ব প্রকাশের জন্য গঠিত একটি সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হল ইসলামের প্রসার এবং ইসলামিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা। হিজবুল্লাহ প্রধানত বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ও সমাজে ইসলামিক শিক্ষার প্রচার ও প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দান করে। এই দলটির দুটি শাখা রয়েছে একটি হচ্ছে সামরিক শাখা যার নাম জিহাদ কাউন্সিল, আর আরেকটি হচ্ছে রাজনৈতিক শাখা যার নাস লয়ালটি টু দ্য রেসিস্ট্যান্স ব্লক, হিজবুল্লাহ সংগঠনটি ইরান ও সিরিয়া থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থন পেয়ে থাকে, তবে মার্কিন সরকার, গ্রেট ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও ইসরায়েল সহ আরো বেশ কিছু দেশের কাছে হিজবুল্লাহ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তবে সত্যিকার অর্থে হিজবুল্লাহ কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। 

হিজবুল্লাহ অর্থ কি

হিজবুল্লাহ নামের অর্থ হল আল্লাহর দল অথবা স্রষ্টার দল হিজবুল্লাহ নামের এই শব্দে দুটি অংশ রয়েছে হিজব ও আল্লাহ, হিজব অর্থ হলো দল বা গোষ্ঠী আর আল্লাহ হলেন মানুষ ও পৃথিবীর সকল সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎআক্ষরিক অর্থে হিজবুল্লাহ নামের অর্থ হলো আল্লাহর দল অথবা স্রষ্টার দল।

লেবাননের হিজবুল্লাহ

হিজবুল্লাহ লেবাননের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল। এটি লেবাননের সরকারি সংস্থা, সুন্নি মুসলিম এবং অন্যান্য সাম্প্রদায়িক গ্রুপের মধ্যে প্রচলিত একটি শক্তিশালী সামরিক এবং রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্য সংগঠন। হিজবুল্লাহ লেবাননের বায়রুত পর্বতীয় অঞ্চলে কর্মরত, যা এশিয়ান শহরের নামকরণের জন্য পরিচিত। তারা একটি ইসলামী রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন হিসেবে প্রস্তুত। এর মূল লক্ষ্য হল ইসলামী মূলধারার আইডেলগুলি প্রচার এবং প্রযুক্তিগত ও সামরিক ক্ষেত্রে লেবাননের সুরক্ষা ও সুরক্ষা বান্ধব দেশের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের কাজ করা।
হিজবুল্লাহের প্রধান আদালত পলিটিক্স, সামরিক অংশ, এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে নেতৃত্ব প্রদান করে। তাদের সামরিক শাখা হিজবুল্লাহের সামরিক শক্তিতে অসংখ্য সৈন্য ও সমরিক উপকরণ সরবরাহ করে। এছাড়াও, তারা লেবাননের প্রায় সমস্ত স্থানীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। হিজবুল্লাহ লেবাননের রাজনৈতিক সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিজবুল্লাহ নামে পরিচিত। এই প্রতিষ্ঠান লেবাননের রাজনৈতিক স্কেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং তারা নির্বাচিত পরিবার এবং শ্রমিকদের প্রতি তাদের আইনি ও সামরিক সাহায্য প্রদানে জন্য জমি করে।

হিজবুল্লাহ মহাসচিব কে

হিজবুল্লাহ মহাসচিবের মাধ্যমে সংস্থার দৈনন্দিন কার্যক্রম, নীতি গঠন, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব রয়েছে। হিজবুল্লাহ মহাসচিব হলেন হাসান নাসরুল্লাহ। এর আগে মহাসচিব ছিলেন আব্বাস আল মুসাওয়ী তিনি ১৯৯২ সালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হোন, এরপর থেকে এই দলটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন হাসান নাসরুল্লাহ। উনার জন্ম ১৯৬০ সালের ৩১ আগস্ট ১৯৬০ তিনি লেবাননীয় রাজনৈতিক ও আধাসামরিক দল হিজবুল্লাহর তৃতীয় ও বর্তমান মহাসচিব। নাসরুল্লাহকে প্রায়শই আস-সৈয়দ হাসান নামে ডাকা হয় যার সম্মানসূচক সৈয়দ অংশটি নির্দেশ করে যে তিনি হোসাইন ইবনে আলীর মাধ্যমে ইসলামী নবী মুহাম্মদের একজন বংশধর। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মতে হাসান নাসরুল্লাহ হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের অন্যতম।

হিজবুল্লাহ বাহিনী কারা

হিজবুল্লাহ সংগঠনের বাহিনী তাদের সংস্থানিকভাবে হিজবুল্লাহ মুকাউমি জাবা বা হিজবুল্লাহ সার্ভিস বিওলেন্ট জাবা নামে পরিচিত। এই বাহিনী হিজবুল্লাহের সংস্থানিক ও সামরিক কাজে সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে। হিজবুল্লাহের এই বাহিনী সাধারণত লেবাননের লোকাল সম্প্রচার এবং সামরিক কাজে সহায়তা করে, এবং যখন প্রয়োজন হয়, তারা লড়াইয়ে অংশ নেয়। হিজবুল্লাহের বাহিনী বিভিন্ন ধরনের সামরিক ও গুপ্তচর কাজে লেবাননের অঞ্চলে কর্মরত। তারা সহায়তা করে ইসলামী আদালত সংরক্ষণে, লেবাননের রাজনৈতিক ও সামরিক সংঘটনে, এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও অবরোধ অভিযানে। তারা একটি প্রশিক্ষণ ও সংস্থানিক প্রকল্পের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের সামরিক প্রযুক্তি এবং যুদ্ধাপরাধী কৌশলে শিক্ষা দেয়। হিজবুল্লাহের বাহিনী সাধারণত লেবাননের যে অঞ্চলে কর্মরত, সেই অঞ্চলের লোকজনের সাথে সম্পর্ক ও সংস্থানিক সহায়তা কাজ করে। তারা প্রাথমিকভাবে লেবাননের আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা, সামরিক অভিযান, ও সমাজসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।

হিজবুল্লাহ সামরিক শক্তি

হিজবুল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শক্তি হিসাবে বিশ্বাসীদের দৃষ্টিতে গণ্য করা হয়। এর হাতে একটি পর্যাপ্ত সেনা ও যুদ্ধাপরাধী সংগঠন রয়েছে, যা লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ায়। হিজবুল্লাহের পাসে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধাপরাধী যন্ত্রপাতি ও অস্ত্র সরবরাহের শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে। তাদের পাসে রকেট, মিসাইল, যুদ্ধাপরাধী গাড়ি, এবং যুদ্ধাপরাধী জাহাজ সহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। এছাড়াও, হিজবুল্লাহের মুখ্য আয়োজক তাদের আপাতত কর্মরত বাংলাদেশ, সিরিয়া, ইরাক, ও ইরানে এই দেশগুলিতে তাদের লক্ষ্য স্থাপন করা হয়েছে। তাদের গতিতে মিলিটারি পরিচালনা এবং রাজনৈতিক সম্প্রচারের জন্য তাদের মাধ্যমে ব্যবহৃত সামরিক শক্তি হিসাবে গণ্য হয়েছে

হিজবুল্লাহ কোন দেশের সংগঠন

হিজবুল্লাহ একটি ইসলামী জিহাদি সংগঠন, যা মুসলিম মুকাফাতের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ মূল কার্যক্ষেত্র প্রধানত লেবাননে, তবে হিজবুল্লাহ বিশ্বব্যাপী কার্যকরিতা প্রদর্শন করেছে। এটি ইসলামি শরীয়াতের অনুসারীদের অধীনে একটি ইসলামী আইনানুসারী সরকার স্থাপনের লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তবে, এই সংগঠনের কার্যকরিতা এবং উদ্দেশ্য পর্যালোচনার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।

হিজবুল্লাহ কোন দেশের সংগঠন হিজবুল্লাহ হলো লেবানন দেশ ভিত্তিক একটি সশস্ত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। হিজবুল্লাহ  শিয়া ইসলামপন্থী একটি সশস্ত্র সংগঠন, হিজবুল্লাহর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন ইসলামবিরোধী সরকার এবং বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে মুসলমানদের বিজয় নিশ্চিত করা। হিজবুল্লাহ সশস্ত্র সংগঠনটি সামরিকপক্ষকে আরব এবং মুসলিম বিশ্বের অনেক অংশ জুড়ে একটি প্রতিরোধের আন্দোলন হিসেবে কাজ করে থাকে, তারা ইতিমধ্য বিভিন্ন রকমের হামলা এবং ধারাবাহিক হামলা সম্পাদন করেছে। হিজবুল্লাহ ইরান ও সিরিয়া থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থন পেয়ে থাকে, তবে মার্কিন সরকার ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইসরায়েলের কাছে হিজবুল্লাহ পুরো বা আংশিকভাবে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তবে রাশিয়া হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অস্বীকার করে একটি বৈধ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে গণ্য করে, আর চীন নিরপেক্ষ এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখে।

হিজবুল্লাহ সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ কি?

উত্তরঃ রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ নামের অর্থ কি?

উত্তরঃ আল্লার দল।

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ কোন দেশের সংগঠন?

উত্তরঃ লেবানন

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠাতা কে

উত্তরঃ সুবী আল-তুফায়লী সাইয়্যেদ আব্বাস আল-মুসাভি

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ নেতা কে 

উত্তরঃ

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ সদস্য কত?

উত্তরঃ ১ লাখের বেশি?

প্রশ্নঃ কোরআনে হিজবুল্লাহ শব্দটি কতবার এসেছে?

উত্তরঃ 

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর কয়টি শাখা আছে?

উত্তরঃ ২ টি

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার নাম কি?

উত্তরঃ জিহাদ কাউন্সিল।

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক শাখার নাম কি?

উত্তরঃ লয়ালটি টু দ্য রেসিস্ট্যান্স ব্লক।

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছে কবে থেকে?

উত্তরঃ ১৯৯২ সাল থেকে।

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ কে আর্থিক ও রাজনৈতিক সাহায্য করে কে?

উত্তরঃ ইরান ও সিরিয়া।

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে কারা?

উত্তরঃ মার্কিন সরকার, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ইসরায়েল।

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর মহাসচিব কে?

উত্তরঃ হাসান নাসরুল্লাহ

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?

উত্তরঃ ১৯৮৫ সালে।

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর সদর দপ্তর কোথায়? 

উত্তরঃ বৈরুত, লেবানন

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহ ভাবাদর্শ কি?

উত্তরঃ ইসলামী জাতীয়তাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, খোমেনিবাদ, পাশ্চাত্য বিরোধী এবং ইহুদি-বিদ্বেষ

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর জাতীয় অধিভুক্তি হয় কবে?

উত্তরঃ ৮ মার্চের জোট

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর আনুষ্ঠানিক রঙ কি

উত্তরঃ হলুুদ ও সবুজ

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর স্লোগান কি?

উত্তরঃ নিশ্চয় আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে।

প্রশ্নঃ হিজবুল্লাহর দলীয় পতাকা কি?

উত্তরঃ 

প্রশ্নঃ ওয়েবসাইটের নাম কি?

উত্তরঃ www.moqawama.org


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url