আল কায়েদা কোন দেশের সংগঠন

আল কায়েদা হল একটি জিহাদি ইসলামিক সংগঠন, আল কায়েদা একটি ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক, প্রতিরক্ষা, এবং গোলামার্তা কার্যক্রম সংগঠন হিসেবে বিখ্যাত। আল কায়েদা প্রতিষ্টাতা হলেন উসামা বিন লাদেন, আল কায়েদা প্রথমত ১৯৮৯ সালে অফগানিস্তানের জাহাদের সমর্থনের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। তার প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসলামিক আদর্শ এবং শারিয়া আইনের অনুসরণের প্রচার প্রসার। তবে, পরে এই সংগঠনটি আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে সামরিক এবং আত্মঘাতী হামলার দায়ে জানা হয়।

আল কায়েদা পরিচালিত হয়েছে বিশেষত ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকান যুদ্ধবিমানের হামলার মাধ্যমে, যা পরে ১১ই সেপ্টেম্বর আক্রমণ হিসাবে পরিচিত হয়। এই হামলায় আল কায়েদা দাবি করে অন্তত ১,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আল কায়েদা বিভিন্ন দেশে সংগঠিত হতে পারে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক হামলা ও আত্মঘাতী কাজে জোর দেয়। এটি বৃহত্তর যুদ্ধপরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। 

আল কায়েদা কোন দেশের সংগঠন

আল কায়েদা কারা

আল কায়েদা সংগঠনের প্রধান ব্যক্তি উসামা বিন লাদেন ছিলেন। তিনি ছিলেন আল কায়েদা সংগঠনের প্রধান নেতা এবং অনেক সময়ে ইসলামিক জাহাদের সংস্কৃতি এবং আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আমেরিকান যুদ্ধবিমান হামলা (১১ই সেপ্টেম্বর আক্রমণ) এবং বাংলাদেশের সিআইএ ব্যাংক হামলা (১৯৯৭ সালে ঢাকায়) সম্পর্কে অনেকবার অবগত করে তারা বোঝাতে ব্যবহার করেছিলেন। 

এছাড়াও, আল কায়েদা সংগঠনের অন্যান্য প্রমুখ সদস্যদের মধ্যে আয়মান আল সাওদাত, আয়মান আল ঝওয়াহিরি, অয়েমা বেন লাদেন, আয়মান জওয়াহিরি, এবং সৈয়দ মাসুদ আয়মান আল হাসান ছিলেন। এই সব ব্যক্তিদের অভিযোগে এবং বিভিন্ন আত্মঘাতী হামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভূমিকা ছিল। তবে, অবশ্য উল্লেখযোগ্য যে, এই সংগঠনের সদস্যতা একটি অধিকার গ্রহণ প্রক্রিয়া যেন না। অনেকে এই সংগঠনের কার্যকারিতা এবং হামলার অনুভূতি বা পরিকল্পনার অনুমোদন ছাড়াও আল কায়েদা সংগঠনের সদস্যতা গ্রহণ করেছিলেন এবং অনেক সময়ে এটি একটি স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করেছিল।

আল কায়েদার ইতিহাস

আল কায়েদা সংগঠনের ইতিহাস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিকশিত। এই সংগঠনের উৎপত্তি হল ১৯৮৮ সালে, যখন সাউদি আরবের সংস্থাপক ও ধনী ব্যক্তি ওসামা বিন লাদেন, বাংলাদেশি মূলবাসী অয়েমা বিন লাদেন এবং অন্যান্য ইসলামিক জাহাদি নেতাদের পরামর্শের আওতায় গঠিত হয়। এটির উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপী ইসলামিক আদর্শ এবং শারিয়া আইনের অনুসরণের প্রচার প্রসার করা।

আল কায়েদা প্রধানত বাংলাদেশী, আফগান, সৌদি, ইজিপ্ট, উইগুর মুসলিম, পাকিস্তানী ও অস্ট্রেলিয়ান সদস্যদের অধিক। এই সংগঠন সূচক হিসেবে তালিবান, আল শাবাব, বোকো হারাম ও মোহাম্মদ অন্সারুল ইসলাম সংগঠনের সমর্থন করে।

আল কায়েদার ইতিহাসে অনেকগুলি ঘটনা ধরা পড়ে, যেমন আমেরিকান যুদ্ধবিমানের হামলা (১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১), বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় হামলা (১৯৯৮), উসামা বিন লাদেনের হত্যা এবং এর পরে তার জাহাদি সংগঠনের কার্যকারিতা ইত্যাদি। আমেরিকান সরকার প্রধানত আল কায়েদা সংগঠনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিশাল আক্রমণ অনুষ্ঠিত করেছে এবং তাদের শক্তি ও ক্যাপাবিলিটির নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন করতে চেষ্টা করেছে।

আল কায়েদার বর্তমান প্রধান

আল কায়েদার বর্তমান প্রধানের নাম নিয়ে স্পষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়, কারণ এই সংগঠনে অবশ্যই একজন নিয়েব নেতা নেই, এর পরিচালনা কমিটি বা নির্দিষ্ট নেতৃত্বের সাথে কাজ করে। তবে, এই সংগঠনের প্রায় সময়ে সংগঠনের বিভিন্ন শাখা বা গ্রুপের নেতা বা প্রধান কার্যনির্বাহী ভূমিকা পালন করেন সাইফ আল-আদেল বা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জাইদান হলেন একজন প্রাক্তন মিশরীয় কর্নেল বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ,

আল কায়েদা একটি অত্যন্ত বিস্তৃত সংগঠন যা বিভিন্ন দেশে গ্রুপ ও শাখা গঠন করে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা ও কার্যক্রম অনুষ্ঠিত করে। তাই, বিভিন্ন অংশে প্রধান নেতা বা নির্দিষ্ট নেতৃত্ব সহায়ক নেতার ভূমিকা প্রভাবশালী হতে পারে, তবে এই সংগঠনের সম্পূর্ণ পরিচালনা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের হাতে নেওয়ার প্রথা নেই।

অন্যদিকে, অনেক সময়ে আল কায়েদা সংগঠনের সংস্থাপক ওসামা বিন লাদেনের নাম এখনো সংগঠনের মনোনিবেশিত ব্যক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, তিনি সংগঠনের মৃত্যুর পর আল কায়েদা সংগঠনের নেতৃত্বের প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পেয়েছেন।

আল কায়েদা কোন দেশের সংগঠন

আল কায়েদা একটি বিশ্বব্যাপী ইসলামিক জিহাদি সংগঠন। এটির সদস্যরা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হয়ে থাকে এবং তাদের প্রধান কার্যক্রম বিভিন্ন দেশে পরিচালিত হয়। তবে, এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন, যার সংগঠনের প্রারম্ভিক কার্যক্রম আফগানিস্তানের জাহাদের সমর্থনের মধ্যে ছিল। এটি বিশ্বব্যাপী ধরনের ইসলামিক জাহাদি সংগঠন হিসেবে গণ্য করা হয়। অতএব, এটির আওতায় বেশ কিছু দেশের মধ্যে সংগঠিত হওয়া হয়েছে, তবে এটির একটি নির্দিষ্ট জন্মভূমি নেই।

তবে ১৯৯৬ সালে বহিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত সুদানে সদর দফতর প্রতিষ্ঠা করে। এরপর তারা তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে এবং পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যান্য অংশে; প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বিস্তৃত হয়।






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url