শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কি।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কি

কোম্পানি মূলধনের অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন হলে ঋণ গ্রহণ করে।  ডিবেঞ্চার কোম্পানির ঋণ। অন্যদিকে, শেয়ার কোম্পানির মূলধনের অংশ। ডিবেঞ্চারহোল্ডার কোম্পানির ঋণদাত।অন্যদিকে,শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির মালিক। ডিবেঞ্চারহোল্ডারগণ কোম্পানির পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করিতে পারে।

ডিবেঞ্চারহোল্ডারগণ  কোম্পানির ঋণদাতা তাই তাদের ভোট প্রদানের অধিকার নাই। অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির মালিক হওয়ায়  পরিচালক নিয়োগের জন্য ভোট প্রদান করতে পারে। ডিবেঞ্চারহোল্ডার শুধু নির্দিষ্ট হারে সুদ পায়। কোন  লভ্যাংশ পায় না। অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডার নির্দিষ্ট বা পরবর্তনীয় হারে লভ্যাংশ পায় এবং লোকসান হলে তাও তাদের  বহন করতে হয়।

সাধারণত ডিবেঞ্চার অর্থ ফেরত  দেওয়া হয়। অন্যদিকে, পরিশোধ্য অগ্রাধিকারযুক্ত  শেয়ার ছাড়া শেয়ারের অর্থ ফেরত দেওয়া হয় না। কোম্পানির বিলুপ  সাধনের সময় ডিবেঞ্চারহোল্ডারগণের দাবি শেয়ারহোল্ডারগণের আগে পূরণ করা হয়। অন্যদিকে, কোম্পানির সমস্ত প্রকার ঋণ পরিশোধের পর শেয়ারহোল্ডারগণের  অবশিষ্ট যে অর্থ থাকে তা থেকে তাদের ফেরত  দেওয়া হয়। কোম্পানির মূলধনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র  অংশকে  শেয়ার বলে। কোম্পানি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থসংস্থান করে থাকে। ঋণপত্র বা  ডিবেঞ্চার হলাে এক প্রকার ঋণের দলিল। কোম্পানি ঋণ পত্রের মাধ্যমে  প্রয়ােজনীয় মূলধনের ব্যবস্থা করে থাকে।

শেয়ার :

ব্যবসা পরিচালনার জন্য মূলধন প্রয়োজন। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়। মূলধন নির্ধারণের জন্য মূলধন  ইস্যুকারী কম্পটোলারের কাছে আবেদন করতে হয়। নির্ধারিত মূলধনকে আবার কত গুলো অংশে ভাগ করা হয়। প্রতি অংশকে শেয়ার বলে। ধরা যাক, একটি কোম্পনির মোট মূলধনের পরিমাণ ৫,০০,০০০ টাকা।

এ পরিমাণকে ৫০০০ অংশে ভাগ করা  হলে প্রতি অংশে ১০০ টাকা পড়ে। সুতরাং, প্রতিশেয়ার ১০০ টাকা বলা হবে। যদি এ মূলধনের অতিরিক্ত অর্থ ব্যবসা পরিচালনার জন্য  প্রয়োজন হয় তাহলে কোম্পানিটি ঋণ গ্রহণ করবে।

ঋণপত্র  :

কোম্পানি মূলধনের অতিরিক্ত অর্থ  প্রয়োজন হলে ঋণ গ্রহণ করে। ঋণ  পত্রের মাধ্যমে কোম্পানি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি উভয় ধরনের ঋণ গ্রহণ করে। এটি আর কিছুই  নয়। কোম্পানির ঋণ গ্রহীতার স্বীকৃতিপত্র মাত্র। এ স্বীকৃতিপত্রের মাধ্যমে কোম্পানি জনসাধারণের  কাছে ঋণের আবেদন জানায়। ধরুন, একটি কোম্পানি ৫ বছর মেয়াদি ১০% ঋণপত্র  ইস্যু করল। যার আর্থিক মূল্য  ১০,০০০ টাকা।

যদি কেই একটি ঋণপত্র ক্রয় করে তাহলে ঐ ব্যক্তি ১০,০০০ টাকার  উপর ১০% হারে সুদ পাবে। মেয়াদপূর্তি  অর্থাৎ ৫ বছর পর আবার ১০,০০০ টাকা ফেরত পাবে। ঋণপত্রটিতে  ঋণের সকল শর্ত  বর্ণিত থাকে। স্বীকৃতি  ঋণপত্রের সারকথা।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url