গ্রিনিচ মান মন্দির কোথায় অবস্থিত

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে গ্রিনিচ মান মন্দির কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন গ্রিনিচ মান মন্দির কোথায় অবস্থিত তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন গ্রিনিচ মান মন্দির কোথায় অবস্থিত। চলুন জেনে নেয়া যাক গ্রিনিচ মান মন্দির কোথায় অবস্থিত।




গ্রিনিচ মান মন্দির কোথায় অবস্থিত

গ্রিনিচের মান মন্দির (রয়েল অবজারভেটরি) গ্রিনিচ পার্কের চূড়ার অবস্থিত। এটি একটি ভৌগলিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ।এটি লন্ডনে অবস্থিত৷

এই স্থান ঐতিহাসিক ভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রাজা প্রথম উইলিয়ামের সময়কাল থেকে। গ্রিনিচ প্রাসাদ, যেটি বর্তমানে মেরিটাইম যাদুঘর; রাজা অষ্টম হেনরি ও তার কন্যা প্রথম মেরি'র জন্ম স্থান। প্রথম এলিজাবেথ ও ট্যুডর'রা গ্রিনিচ প্রাসাদ তাদের হান্টিং লজ হিসেবে ব্যবহার  করতেন। গ্রিনিচের এই প্রাসাদ না দুর্গটি রাজা অষ্টম হেনরির বিশেষ প্রিয় ছিলো। তার উপপত্নীদের আবাসস্থল ছিলো এটি। মূল প্রাসাদ থেকে এখানে তিনি সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন বলে এটি তার বিশেষ প্রিয় জায়গা ছিলো।

এটির দ্রাঘিমগত মান O অর্থাৎএর উপর মূলমধ্যরেখা গেছে ৷এটি দিক নির্ণয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও স্থান। কারণ মূল মেডিট্রেরিয়ান এর মধ্য দিয়ে চলে গেছে।এটির সময়কে প্রমাণ ধরে অন্যান্য জায়গার সময় নির্ভুলভাবে নির্নয় করা যায় ৷এটির সাহায্যে অনান্য স্থানের দ্রাঘিমা গত মান নির্ণয় করা যায়।

এর প্রমান সময় কে G.M. T.বলে যা ভারতের প্রমান সময় (IST)থেকে সাড়ে ৫ ঘ: পিছিয়ে৷ মূলমধ্যরেখার আখ্যা: ১৮৮৪ সালে আন্তর্জাতিক আলোচনা স্থলে স্থির হয়ে যে লন্ডনের গ্রিনিচ মানমন্দিরের ওপর দিয়ে যে দ্রাঘিমা রেখা গেছে সেটাই হবে মূল দ্রাঘিমারেখা মূল মধ্যরেখা ।গ্রিনিচের মান মন্দির (রয়েল অবজারভেটরি), ন্যাশনাল মেরিটাইম যাদুঘর, রাণীর বাড়ি ও ক্যাটি সার্ক একত্রে রয়্যাল মিউজিয়াম গ্রিনিচ নামে পরিচিত।১৬৭৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস ১০ই আগস্ট গ্রিনিচের মান মন্দির (রয়েল অবজারভেটরি)'র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এই মন্দিরের জায়গা ক্রিস্টোফার রেন পছন্দ করেন এবং এই সময়েই এস্ট্রোনোমার রয়্যাল নামে একটি পদ সূচনা করা করা হয়, যিনি গ্রিনিচের মান মন্দির (রয়েল অবজারভেটরি)'র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে স্থির করা হয়। মান মন্দিরটির প্রথম "এস্ট্রোনোমার রয়্যাল হিসেবে দায়িত্ব পান জন ফ্ল্যামস্টিড। ১৬৭৬ সালের গ্রীষ্ম কালে ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়। ভবনটিকে সহসাই "ফ্ল্যামস্টিড হাউজ" নামেই ডাকা হত। বর্তমান সময়ে সায়েন্টিফিক কাজ-কর্ম গুলো অন্য জাগায় স্থান্তরিত করা হয়েছে। তাই গ্রিনিচের এই ভবনটি এখন মূলত যাদুঘর হিসেবেই বিবেচ্য হচ্ছে। স্থানটি ভ্রমণ পিপাসীদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান বটে। হাজার হাজার মানুষ এখানে ঘুরতে ও দেখতে আসেন। মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক বিবেচনায় এটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url