বাংলাদেশের তাজমহল কোথায় অবস্থিত

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে বাংলাদেশের তাজমহল কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন বাংলাদেশের তাজমহল কোথায় অবস্থিত তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশের তাজমহল কোথায় অবস্থিত। চলুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের তাজমহল কোথায় অবস্থিত।

আমাদের বিশ্ব, সাধারন প্রশ্ন উত্তর, নতুন বিশ্ব, অজানা তথ্য, আজকের বিশ্ব, সাধারন জ্ঞান, জেনারেল নলেজ, কুইজ, ধাঁধা, এমসিকিউ, আইকিউ, বিসিএস প্রিলিমিনারি,

বাংলাদেশের তাজমহল কোথায় অবস্থিত

পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম ভারতের আগ্রার তাজমহলের মত করে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পেরাব গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলার তাজমহল বা দ্বিতীয় তাজমহল। নারায়ণগঞ্জের শিল্পপতি চলচ্চিত্রকার আহসান উল্লাহ মনি এই তাজমহল তৈরী করেন। বাংলার তাজমহল (Banglar Tajmahal) নির্মাণে আসল তাজমহলের সাথে সর্বোচ্চ মিল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাজমহলের প্রধান ভবন দামি স্বচ্ছ পাথরে মোড়ানো। বাংলার তাজমহলের অভ্যন্তরে আহসান উল্লাহ মনি এবং তার স্ত্রী রাজিয়ার কবরের স্থান সংরক্ষণ করা আছে। আগ্রার তাজমহলের মতই মূল ভবনের চার কোণে চারটি বড় মিনার রয়েছে। আর ভবনের সামনে রয়েছে পানির ফোয়ারা, ফুলের বাগান এবং দর্শনার্থীদের বসার স্থান।

২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। বাংলার তাজমহল (Banglar Tajmahal) নির্মাণে আসল তাজমহলের সাথে সর্বোচ্চ মিল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাজমহলের প্রধান ভবন দামি স্বচ্ছ পাথরে মোড়ানো। বাংলার তাজমহলের অভ্যন্তরে আহসান উল্লাহ মনি এবং তার স্ত্রী রাজিয়ার কবরের স্থান সংরক্ষণ করা আছে। আগ্রার তাজমহলের মতই মূল ভবনের চার কোণে চারটি বড় মিনার রয়েছে। আর ভবনের সামনে রয়েছে পানির ফোয়ারা, ফুলের বাগান এবং দর্শনার্থীদের বসার স্থান।

বাংলার তাজমহলে আছে রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও এবং রাজমনি ফিল্ম সিটি রেস্তোরাঁ, যেখানে যেকোন দর্শনার্থী চাইলে ছবি তুলতে পারেন। বাংলার তাজমহলের কাছেই নির্মাণ করা হয়েছে মিসরের পিরামিডের প্রতিরূপ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য, ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য, ২৫০ আসনবিশিষ্ট সিনেমা হল এবং সেমিনার কক্ষ। এছাড়াও তাজমহলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী, জামদানি শাড়ি, মাটির গহনাসহ আরও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দোকান। পণ্ডিতরা অনুমান করেছেন যে তাজমহল নির্মাণের মোট খরচ সেই সময় প্রায় ৩২ মিলিয়ন রুপি হতে পারে। যা বর্তমানে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তাজমহল নির্মাণের জন্য তহবিল সম্রাটের রাজকীয় ট্রেজারি এবং আগ্রা প্রদেশ সরকারের কোষাগার (সুবাহ আকবরাবাদ) দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url