তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন
প্রিয় পাঠক আজকের এই টিউটোরিয়ালে ১৫০ বছরে পুরোনো সংবাদপত্র তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যার মাধ্যমে আপনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ইতিহাস ও আরো কিছু তথ্য জানতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক।
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৪৩ এবং প্রকাশনা স্থগিত করা হয় ১৮৮৩ সালে। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সদর দপ্তর ছিল কলকাতা, বঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত৷ ব্রাহ্মধর্মের প্রচার এবং তত্ত্ববোধিনী সভার সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের উদ্দেশ্যে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার লেখক ও পৃষ্ঠপোষক সবাই ছিলেন সংস্কারপন্থী৷ বেদান্ত প্রতিপাদ্য ব্রহ্মবিদ্যার প্রচার পত্রিকার মুখ্য উদ্দেশ্য হলেও জ্ঞানবিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব এবং দর্শনবিষয়ক মূল্যবান রচনাও এতে প্রকাশিত হতো৷
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। উনিশ শতকের শ্রেষ্ঠ গদ্যলেখক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ এ পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন এবং তাদের লেখার মাধ্যমে তখন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এক নবযুগের সূচনা হয়৷ পরবর্তীতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্ত, রাজনারায়ণ বসু, রাজেন্দ্রলাল মিত্র উনারাও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।